এপ্রিল ২২, ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম
পুলিশের প্রতিটি সদস্যকেই সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও বিবেকের দায়বদ্ধতা কাটিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হয়। একইসাথে পেশাগত দায়িত্বের বাইরে বিবেকের দায়িত্ব পালন করেও একজন মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা হতে হয়। কখনো কখনো যা অর্জনের জন্য জীবন থেকে হারিয়ে ফেলতে হয় ব্যক্তিগত জীবনের সুখ-উচ্ছাস। অবশ্য কাউকে ভালো রাখার মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায় নিজের জীবনের আনন্দ-সুখ। ঠিক এমনই একজন পুলিশ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বহু দায়িত্বশীল পদে আসীন হয়েও সবচেয়ে নিচে যিনি অবস্থান করেন খোঁজ রাখেন তার ব্যাপারেও। নিজ মেধা, শ্রম, প্রজ্ঞায় পুলিশ বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করে যাওয়া মানবিক এই পুলিশ কর্মকর্তার জন্মদিন আজ (২২-০৪-২০২৪)।
জন্মদিনের এই মাহেন্দ্রক্ষণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আস্থা-ভরসার প্রতীক, ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতের নায়ক উল্লেখ করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান ঢাকা মহানগরীর বাসিন্দারাসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
মানবিক এই মানুষটির বদৌলতেই বদলেছে অবহেলিত একটি অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান। একটি নির্দিষ্ট জাতিস্বত্বার অস্তিত্ব প্রকাশ পেয়েছে বেঁচে থাকার নব আনন্দে। কেবলমাত্র তারই একান্ত প্রচেষ্টাতে সমাজের অবহেলিত, বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী হিজড়া ও বেদে সম্প্রদায় আজ পাচ্ছে সকল নাগরিক সুবিধা। বুক ফুলিয়ে নিজেদের পরিচয় দিতে পারছে এই জনগোষ্ঠীর বিশাল একটি অংশ। মানবিক উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা উত্তরণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই কঠিন এই কাজ তিনি করেছেন শুধুমাত্র মানবিক বিবেচনায় এবং সমাজ বদলানোর প্রত্যাশায়।
পুলিশ বাহিনীর প্রতি পেশাগত দায়িত্বের বাইরেও দায়িত্ব থাকে; যদি কারো মধ্যে সে দায়িত্ব পালনের মানসিকতা থাকে। আর সেই মানসিকতা সম্পন্ন হাবিবুর রহমান প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা, গৌরবগাঁথা ইতিহাস ছড়িয়ে দিতেই নিজের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জীবন্ত কিংবদন্তি, পুলিশ বাহিনীর রত্ম খ্যাত সেই হাবিবুর রহমান ১৯৬৭ সালের ১ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৭তম বিসিএসের এই কর্মকর্তা এর আগে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তরে কাজ করার পর ডিআইজি হিসেবে ঢাকা রেঞ্জে যোগদান করেন তিনি। ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে তিনি অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধানের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
আরএস