Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

নোয়াখালীতে বিমানবন্দরের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ০৮:০৩ পিএম


নোয়াখালীতে বিমানবন্দরের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন

নোয়াখালী পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দর স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সামাজিক সংগঠন নোয়াখালী ইয়ুথ ফোরামের আয়োজনে এ মানববনদন অনুষ্ঠিত হয়।

ফরাজী হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার এম মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং মোজাম্মেল হোসেন ও নোয়াখালী ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি হামিদ রনির যৌথ সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গবেষক ও উন্নয়ন কর্মী মো. আল মামুন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মনিরুল ইসলাম মনির, প্রতিদান ফাউন্ডেশনের সভাপতি জাহিদ ভুঁইয়া, ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার কর্মী দেলোয়ার হোসেন মিলন, দৈনিক বাংলার জাগরণ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মহিউদ্দিন চৌধুরী লিটন, নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরাম এনজেএফের ক্রীড়া সম্পাদক ইসমাইল হোসেন টিটু, সদস্য মিরাজ, এ এইচ এম হাসান, ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী মিলন খান, দেশী এয়ার ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশ্রাফুল আলম টিটু।

এছাড়াও ডিবিসি নিউজের সাইফুল ইসলাম, মোহনা টিভির মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, ইউনাইটেড অম্বর নগর স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি আজাদ হোসেন তুহিন, দৈনিক লাখোকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি রিপন সালাউদ্দিন, সামাজিক সংগঠক শাহজাহান মিজি, আজাদ মিজিসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নোয়াখালী সদর উপজেলার সোনাপুরের দক্ষিণে পূর্ব চর শুল্লুকিয়ায় পরিত্যক্ত এয়ারস্ট্রিপকে পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দরে রূপান্তরে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে দীর্ঘ একযুগ ধরে। পরপর তিন বিমান মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সরেজমিন পরিদর্শনের পরও ভাগ্য খোলেনি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নোয়াখালী বিমানবন্দরের। প্রবাসী অধ্যুষিত বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রায় এক কোটি মানুষের বসবাস, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প, স্বর্ণদ্বীপের সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্প, সম্ভাবনাময়ী নিঝুমদ্বীপ, বৃহত্তর নোয়াখালীর বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা, দক্ষিণে শিল্পাঞ্চলসহ অসংখ্য ছোট ও মাঝারি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে। এসব সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে নোয়াখালীতে দ্রুত বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা জরুরি।

বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার আগে ফসলি জমিতে কীটনাশক ছিটানোর জন্য নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের চর শুল্লুকিয়া গ্রামে ১৬ একর ভূমির ওপর একটি এয়ারস্ট্রিপ ছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সেটি যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার অভাবে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ওই এয়ারস্ট্রিপে ৩০ একর জমি অব্যবহৃত পড়েছিল। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নোয়াখালী সফরেও বিমানবন্দরের বিষয়টি গুরুত্ব পায়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে নোয়াখালী এয়ারস্ট্রিপকে পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দরে রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

২০১৭ সালের ১ আগস্ট নোয়াখালী-৫ আসনের সংসদ সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে তৎকালীন বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে চিঠি লেখেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, পরিত্যক্ত স্থানটিতে একটি রানওয়েসহ ছোট টার্মিনাল আছে। জনস্বার্থ বিবেচনা করে নোয়াখালী সদর উপজেলায় অব্যবহৃত এয়ারস্ট্রিপে একটি নতুন বিমানবন্দর স্থাপনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। বিমানমন্ত্রীও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দেন।

এরপর ২০১৮ সালের ২২ জুলাই তৎকালীন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল এবং ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি বর্তমান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী নোয়াখালী বিমানবন্দর এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। তারা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে অচিরেই নোয়াখালী বিমানবন্দরের কাজ শুরু হওয়ার আশ্বাস দিলেও আজও প্রকল্পটি অজানা কারণে আজও ‘লাল ফিতায়’ বন্দি হয়ে আছে।

সরকার নোয়াখালীতে প্রস্তাবিত বিমান বন্দরটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে হস্তান্তর করেছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ২০২২ সালের ১-৫ মার্চ নোয়াখালীতে প্রস্তাবিত বিমান বন্দরে অবস্থান করে তাদের হেলিকপ্টার উড্ডয়ন করে। এরপর থেকে তারা স্থায়ীভাবে এখান থেকে তাদের হেলিকপ্টার উড্ডয়নে নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। পুরোনো এয়ারস্ট্রিপকে পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দরে রূপ দিলে দেশের অর্থনীতিতে তা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

সকল কিছু ঠিক থাকার পরও নোয়াখালীতে কেন বিমানবন্দর হচ্ছে না! প্রবাসী অধ্যুষিত এই অঞ্চলে দ্রুত বিমানবন্দর করার দাবি জানান মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিবর্গ।

ইএইচ

Link copied!