আমার সংবাদ ডেস্ক
জুলাই ১৮, ২০২৪, ০২:২২ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
জুলাই ১৮, ২০২৪, ০২:২২ পিএম
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালনের জন্য রাজধানী ঢাকার রাজপথের বিভিন্ন পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরমে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। রাজধানীজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ইতোমধ্যে যাত্রাবাড়ী, শান্তিনগর, রামপুরা, মেরুল বাড্ডা, নতুনবাজার, কুড়িল বিশ্বরোপ, মিরপুর-১০ ও উত্তরায় অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ীতে দুইজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বাড্ডায় কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তবুও রাজপথ ছাড়েনি শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া মিরপুর-১০-এর গোলস্তরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
সকাল ১১টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সংঘর্ষের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। যানবাহন না পেয়ে সাধারণ মানুষ ও অফিসগামী পথচারীরা পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেরুল বাড্ডা এলাকায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর ফলে মেরুল বাড্ডা এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
উত্তরাতেও কোটা সংস্কারের দাবিতে সড়কে নেমেছে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেখানেও পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
জানা যায়, উত্তরা জমজম টাওয়ারের সামনে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দফায় দফায় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশ বক্স ও দুটি যাত্রীবাহী বাসে ভাঙচুর চালায়। সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ডিউটি অফিসার এসআই রিপন বলেন, এখনো সংঘর্ষ চলছে। ভাঙচুরের ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়নি। পুলিশ সদস্যরা সেখানে কাজ করছেন।
ইএইচ