নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ৪, ২০২৪, ১১:১৯ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ৪, ২০২৪, ১১:১৯ এএম
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ, গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন এক বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ দেওয়া এবং আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ জানিয়ে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিচারের সম্মুখীন করার দাবি জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে অরাজনৈতিক এ আন্দোলনকালে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীসহ অনেক শান্তিপ্রিয় নাগরিক নিহত, হাজার হাজার মানুষ আহত ও গণগ্রেপ্তার, গণনির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হত্যা, নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের তত্বাবধানে নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক জড়িতদের শান্তির দাবি করেছেন দেশবরেণ্য আইনজীবি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন।
বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারে বিপুল সংখ্যক ছাত্রী এবং সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ও গুরুতর আহত করা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার পরিপন্থি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, এই আন্দোলন চলাকালে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে, যা কোনো ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে মনে রাখতে হবে মানুষের প্রাণের মূল্য দুনিয়ার সমস্ত সম্পদ বা স্থাপনার চেয়েও অনেক বেশি। স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এসব প্রাণহানি ও নাশকতার জন্য যারা দায়ি, তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী শান্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন এই অজুহাতে ভিন্নমতের কাউকে দমন-পীড়ন বা সাধারণ মানুষকে হয়রানি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ, সারা দেশে আটক করা ছাত্র-জনতার মুক্তিদানসহ অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিআরইউ