Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

আইএসপিআর

রাজনৈতিক-বিচারক-পুলিশ কর্মকর্তাসহ আশ্রয় নেয়া ৬১৫ জন সেনানিবাস ছেড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ১৮, ২০২৪, ১০:৫৩ এএম


রাজনৈতিক-বিচারক-পুলিশ কর্মকর্তাসহ আশ্রয় নেয়া ৬১৫ জন সেনানিবাস ছেড়েছেন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পড়ে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশত্যাগও করেন। আবার অনেকেই নিরাপত্তার জন্য ছিলেন সেনা হেফাজতে। এ নিয়ে বেশকিছুদিন ধরে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কেননা কতজন নেতাকর্মী সেনা হেফাজতে রয়েছেন, তার কোনো সংখ্যা জানা যাচ্ছিল না। অবশেষে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

রোববার (১৮ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। এ সময় প্রাণনাশের আশঙ্কায় কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিবিধ নাগরিকগণ সেনানিবাসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ, জীবন রক্ষা ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে জীবন বিপন্ন ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ২৮ জন পুলিশ অফিসার, ৪৮৭ জন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার পরিজন (স্ত্রী ও শিশু)‍‍`সহ সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয়।

পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে ৬১৫ জন স্ব-উদ্যোগে সেনানিবাস ত্যাগ করেছেন জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, আশ্রয় প্রদানকৃত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত ৪ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে আশ্রয়প্রাপ্ত ৩ জন তাদের পরিবারের ৪ জন সদস্যসহ মোট ৭ জন সেনানিবাসে অবস্থান করছে। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সকল তথ্যাদি প্রদান করা হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এক্ষেত্রে, গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে ধৈর্যশীল ও সহযোগী মনোভাব প্রদর্শন করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনসাধারণের পাশে আছে এবং থাকবে।

বিআরইউ

Link copied!