নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ২৭, ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ২৭, ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী সংসদ সদস্যসহ চার সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩৭ জনের নামে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেওয়া নিহত মিরাজুল ইসলামের বাবা আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
মামলায় আলোচিত বিবাদীরা হলেন, লালমনিরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সম্পাদক ও লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা খাতুন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের দেশব্যাপী চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে লালমনিরহাটের আদিতমারী মহিষখোচা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মিরাজুল ইসলাম অংশগ্রহণ করে। পরে লালমনিরহাটের চার সংসদ সদস্যসহ বাকি আসামিরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে আক্রমণ চালায়। এতে মিরাজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে ডেল্টা মেডিকেলে ভর্তি করান। চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন না হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলামের মিরাজুল ইসলামের বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে লালমনিরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সম্পাদক ও লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা খাতুনসহ ৩৭ জনকে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০০/৩০০ জনের বিরুদ্ধে রোববার রাতে ঢাকার যাত্রবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
যাত্রবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৩৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন স্থানীয় সংসদ সদস্য রয়েছেন।
ইএইচ