Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪,

মোবাইল ফিক্সার সিইও সজিবের গাড়ি বিলাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ৩, ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম


মোবাইল ফিক্সার সিইও সজিবের গাড়ি বিলাস

মোবাইল ফিক্সার সিইও সজীব জমাদ্দার ওরফে আহমেদ বিন সজিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

রাজধানীর মোতালিব প্লাজার এক ব্যবসায়ী গত ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দুদকে এই অভিযোগটি জমা দেওয়া হয়।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সজীব একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। তার পিতা সালাম জমাদ্দার একজন ড্রাইভার ছিলেন। সজিবের জন্মস্থান মাদারীপুর হলেও তার পিতা সালাম জমাদ্দার জন্মস্থান জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী দেখানো হয় মধ্য বাড্ডায়।

বিগত ৪-৫ বছর আগে রাজধানীর হাতিরপুল মোতালিব প্লাজা শপিং কমপ্লেক্সে বিভিন্ন দোকানে মোবাইল ইলেট্রেশিয়ান হিসেবে চুক্তিভিত্তিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

সাম্প্রতিক সময়ে সজীব জমাদ্দারের বেশ কিছু বিলাসী কর্মকাণ্ড ও বিলাসবহুল গাড়ির সমাহার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা রীতিমতো হাতিরপুল মোতালিব প্লাজা মার্কেটের দীর্ঘদিনের পুরোনো ব্যবসায়ীদের মাঝে হইচই ফেলে দিয়েছে।

মার্কেটের পুরোনো ব্যবসায়ী যখন বৈধভাবে ব্যবসা করে ভাঙা সাইকেল ও মোটরসাইকেল নিয়ে মার্কেটে আসেন ঠিক সেই সময়ে চার বছরে সজীব জমাদ্দার মাজেন্ডা ব্র্যান্ড ও হ্যারিয়ার ব্র্যান্ড ও স্পোর্টসের মতো বিলাস বহুল গাড়ি নিয়ে মার্কেটে প্রবেশ করেন।

লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সজীব জমাদ্দার প্রতিটি গাড়ি নিজ নামে ক্রয় করেছেন। যার গড় মূল্য ৬০ লক্ষ টাকা। সজীব নিজ নামে কোম্পানিও খুলেছেন। যার নাম দিয়েছেন মোবাইল ফিক্সার। এরই মধ্যে সজীব নিজ কোম্পানির নামে মোতালিব প্লাজা শপিং কমপ্লেক্সে ৮টি দোকান ভাড়া নিয়েছেন। প্রতিটি দোকান ভাড়া নিতে অ্যাডভান্স বাবদ সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা দিতে হয়েছে।

শুধু মোতালেব প্লাজায় নয় বসুন্ধরা সিটি এবং যমুনা ফিউচার পার্কেও দোকান রয়েছে তার। সব দোকান ভাড়া বাবদ অ্যাডভান্স করেছে মোট তিন কোটি টাকারও বেশি।

অভিযোগে আছে হয়েছে, সজীব মোতালিব প্লাজায় নিজস্ব আলিশান ফ্ল্যাটে থাকেন। সজীব ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদির মাধ্যমে সমালোচিত সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের সাথে সক্ষতা গড়ে। বিভিন্ন সময়ে ডিবি সদস্যদের দ্বারা জব্দকৃত মোবাইল সজীব নিয়ে এসে ডিসপ্লে খুলে অধিক দামে বিক্রি করে রাতারাতি শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

শুধু রাজধানীতে নয় সজীব তার নিজ এলাকায়ও করেছেন বিলাস বহুল বাড়ি, ক্রয় করেছেন অনেক জায়গা জমি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন সময়ে মাদারীপুরের সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় গড়েছেন অঢেল সম্পদ।

রাজধানী ঢাকাতে সজীব বিতর্কিত ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ছত্রছায়ায় চলতেন। গোলাম রাব্বানীর নাম পরিচয় ব্যবহার করে সজীব ইতিমধ্যে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

মোবাইল ফিক্সারে প্রতিটি শো-রুমে হিউজ আইফোন সিক্সটিন থাকা নিয়ে বিটিআরসির উপ-পরিচালক গোলাম সারোয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি বসুন্ধরা ও যমুনা ফিউচার মার্কেটে হিউজ আইফোন সিক্সটিন ঢুকে যার বাজার মূল্য ২ লক্ষের ও অধিক খুব অল্প সময়ে বিপুল পরিমাণ মোবাইল কীভাবে আমাদের দেশের মার্কেটে এসেছে সবাই প্রতিটি মোবাইলে সঠিক ইনকাম ট্যাক্স দেওয়া হয়েছে কিনা তা নিয়ে বিটিআরসি কাজ করছেন খুব শীর্ঘই ঐসকল মার্কেটে র‍্যাব ও বিটিআরসি একটি যৌথ অভিযান হবে বলে জানান তিনি।

সজিবের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ এর বিষয়ে দুদকের এক তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আমাদের কাছে মোবাইল ফিক্সার সিইও সজিবের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে একটা অভিযোগ এসেছে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

ইএইচ

Link copied!