আমার সংবাদ ডেস্ক
অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
এলজিইডির ক্রিলিক আয়োজিত অপারেশনস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অব ক্রিলিক বিষয়ক দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার এলজিইডি সদর দপ্তরের প্রশিক্ষণ কক্ষে জলবায়ু সহিষ্ণু স্থানীয় অবকাঠামো কেন্দ্র (ক্রিলিক) আয়োজিত অপারেশনস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অব ক্রিলিক বিষয়ক দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব) গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ।
প্রশিক্ষণে উপস্থিত হয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে সেগুলোর একটি বাংলাদেশ। তার ওপর, এই বর্ষা মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ব্যাপকতা ছিল চরম ও নজিরবিহীন। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখনো দৃশ্যমান। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বেড়ে চলেছে। দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে মরুকরণ দেখা দিয়েছে। সুতরাং আমাদের অবকাঠামো নির্মাণ পরিকল্পনা ও ডিজাইন করার সময় এসব বিষয় বিবেচনাপূর্বক সম্পৃক্ত করতে হবে।
এ সময় তিনি ক্রিলিকের কার্যক্রম চলমান রাখতে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে সম্পৃক্ত করতে সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও ক্রিলিকের পরিচালক মো. আব্দুল হাকিম।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। বলতে গেলে এটি একুশ শতকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দিন দিন জলবায়ুর পরিবর্তন জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলায় তা আমাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সকল উদ্ভূত সমস্যা সমাধানকল্পে নানামুখী গবেষণাও চলছে। এলজিইডির ক্রিলিক সেই পথেই হাঁটছে।
প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থাপনা করেন এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্লানিং) মো. জসিম উদ্দিন, ক্রিমের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল খালেক, আইডিসি ক্রিলিকের টিম লিডার ড. ডান বুম, প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ বান্দা হাফিজ।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইডিসি-ক্রিলিকের সিনিয়র ইনস্টিটিউশনাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট নেস্টর জাপাতা। দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে এলজিইডির বিভিন্ন পর্যায়ের বিশজন প্রকৌশলী অংশগ্রহণ করে।
ইএইচ