নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ৩১, ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ৩১, ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন-২০২৩ এর বিধিমালা, প্রবিধিমালা ও অর্গানোগ্রামে ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করাসহ ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী ৭৪টি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বিশেষ শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণে’ আয়োজিত এ মানববন্ধন অনুষ্ঠানে এসব দাবি করা হয়।
অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন-২০২৩ এর বিধিমালা, প্রবিধিমালা ও অর্গানোগ্রামে ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় সমূহ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বিএসএড পাশ করা শিক্ষকগণকে তাদের প্রাপ্য ন্যায্য ধাপে বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে।
শিক্ষক-কর্মচারীদের সম্প্রতি জমাকৃত সি পি এফ-এর টাকা (১০ শতাংশ+১০ শতাংশ) নিজ নিজ ব্যাংক হিসাব নম্বরে ফেরত পূর্বক পূর্বের ন্যায় প্রেরণ করতে হবে। ২০১৫-২০১৬ ও ২০১৬-২০১৭ বছরের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে।
৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়সমূহের নীতিমালা অনুযায়ী পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি প্রদান করতে হবে এবং শূন্য পদে ও সৃষ্ট পদে নিয়োগ দিতে হবে। পদোন্নতি, টাইম স্কেল প্রদান, বেতন বৈষম্য দূরীকরণসহ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়ন করতে হবে।
সারাদেশে এমপিওভুক্ত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়সমূহের সার্বিক পরিচালনা ব্যয় যেমন শিক্ষা উপকরণ, খেলাধুলা সামগ্রী, বিনোদন কার্যক্রম পরিচালনার সামগ্রী, অফিসিয়াল সামগ্রী এবং বিভিন্ন প্রকার থেরাপি সামগ্রী ক্রয় সেই সাথে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস সমূহের উদযাপন ব্যয় বাবদ বার্ষিক প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করে তা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
২০০৯ এর পূর্বে নিয়োগ প্রাপ্ত নন বিএসএড ১৩৭ জন শিক্ষকের পূর্বের ধাপে বেতন প্রদান করতে হবে। প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ২৩০০০ এর পরিবর্তন করে ২৯০০০ টাকায় উন্নীত করতে হবে। শিক্ষকদের ইনডেক্স নম্বর প্রদান করতে হবে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিবদ্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০০৯ অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি ২০১০ সাল থেকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ এর ভিত্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশে ৫৫টি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় রাজস্ব খাত থেকে বেতন ভাতা পেয়ে আসছে।
পরবর্তী সময়ে এর সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী বেতন ভাতা পেয়ে আসছেন। নীতিমালায় উল্লেখ আছে যে, সময়ে সময়ে বেতন স্কেল পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরাও এর সুবিধা পাবো। কিন্তু দুঃখের বিষয় জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ সরকারি প্রতিষ্ঠানে ২০১৬ সাল থেকে কার্যকর হলেও সরকার আমাদের জন্য ২০১৮ সাল থেকে কার্যকর করেছে। ২০১৫-২০১৬ এবং ২০১৬-২০১৭ মোট ২ বছরের বকেয়া বেতন আমাদের এখনও দেওয়া হয়নি।
২০১৮ সাল থেকে কয়েকবার আবেদন করা হলেও দুই বছরের বর্ধিত বকেয়া বেতন ভাতা আমরা এখনও পাইনি। তারা আরও বলেন, ধারা অনুযায়ী আমরা সরকারি সব সুবিধা পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু আমরা প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের প্রাপ্য অধিকারগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার পরেও অধিকার বাস্তবায়ন হয়নি।
ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী খালি হাতে অবসর গ্রহণ করেছেন এবং অনেক শিক্ষা-কর্মচারী মৃত্যুবরণও করেছেন।
ইএইচ