আমার সংবাদ ডেস্ক
ডিসেম্বর ৮, ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
ডিসেম্বর ৮, ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম
দর্শকদের ব্যাপক উপস্থিতি ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ‘ফ্রেমে বন্দি ৩৬ জুলাই : অভ্যুত্থানের পূর্বাপর’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদযাপিত হচ্ছে। প্রদর্শনীতে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় জীবন্ত করে তোলা হয়েছে, যা দর্শনার্থীদের মধ্যে গভীর আগ্রহ ও প্রশংসার জন্ম দিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাধারণ মানুষ ও স্কুলকলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে প্রদর্শনীর পরিবেশ।
রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনীর আজ ছিল দ্বিতীয় দিন। তবে দর্শকদের ব্যাপক সাড়া এবং অনুরোধের প্রেক্ষিতে ৭ ও ৮ ডিসেম্বরের প্রদর্শনীটি আরও একদিন বর্ধিত করা হয়েছে। এখন এটি আগামীকাল ৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বেলা ১১টায় প্রদর্শনী উন্মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। অনেকে দলবেঁধে প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। ছবি দেখার পাশাপাশি দর্শনার্থীরা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আয়োজকদের কাছ থেকে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত দ্বিতীয় দিনের প্রদর্শনী দেখতে আসেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-এর সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র জনাব রাশেদ প্রধান, জামায়াতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আমীর আব্দুল জব্বার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ ইনকিলাব পার্টির আহ্বায়ক আহম্মেদ শাকিল (এম.এ)-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি শামসুল আলম,হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় গুম তদন্ত কমিশনের সদস্য নুর খান লিটন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট আলোকচিত্রশিল্পী শহিদুল আলম, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পরিচালক এবায়দুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শেহরিন আমিন মনামীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের নানাদিক নিয়ে সাজানো প্রদর্শনী দেখতে আরও আসেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম, প্রসিকিউটর তারেক আব্দুল্লাহ, প্রসিকিউটর এস এম মইনুল করিম, প্রসিকিউটর শাইখ মাহদী।
এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, হাসিব আল ইসলাম , জাগপা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রহমান ফারুকী, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি খালেদ মাহমুদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোল্যা রহমাতুল্লাহ্, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি)-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি কামরুল হাসান, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি কে এম ইমরান হুসাইন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের (নুর) ঢাবির নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ ছাত্র মিশন (ইরান)-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি আসিক আল আবিদ, Student of Sovereignty যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ ইরাকুব মজুমদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রদর্শনীতে আগত নেতৃবৃন্দ ও দর্শনার্থীরা জানান, “চব্বিশের সারা দেশের আন্দোলনের চিত্রগুলো এখানে নিখুঁতভাবে এক জায়গায় তুলে ধরা হয়েছে, যা বিপ্লবের স্মৃতিকে সবার মনে জীবন্ত করে তুলেছে। এমন আয়োজন আরও বেশি হওয়া প্রয়োজন।"
প্রদর্শনীতে সংরক্ষিত আলোকচিত্রগুলোতে আন্দোলনকারীদের আত্মত্যাগ, শহীদদের স্মৃতি এবং দীর্ঘ ১৬ বছরব্যাপী আওয়ামী লীগের একদলীয় স্বৈরশাসনের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে, যা দর্শকদের মধ্যে গভীর আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
আরএস