আমার সংবাদ ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং বিচারের মুখোমুখি করা হবে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। নয়ত দেশের সাধারণ মানুষ অন্তর্বতী সরকারকে ক্ষমা করবেন না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটের (ডব্লিউজিএস) ফাঁকে দেশটির রাষ্ট্রীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাতকারে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা ভারতে নোটিশ পাঠিয়েছি, শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে, মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনারের প্রতিবেদনসহ আমাদের কাছে অসংখ্য প্রমাণ আছে। তারা যা (অপকর্ম) করেছে তার সবকিছুর স্বাক্ষী এটি। জাতিসংঘ এটি নথিবদ্ধ করেছে এবং হাসিনা, তার সরকার, তার সমর্থকরা কী করেছে তার অনেক প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমরা আশা করি এটি চলবে এবং তাকে আমরা বিচারের আওতায় আনব। এটি হতে হবে। নয়ত মানুষ আমাদের ক্ষমা করবে না।’
জুলাই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ করেছিলেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ড. ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে ফোনের কথা বলার পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘এটি ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বৃহত্তর অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্কের পুনর্গঠনের সূচনা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চমৎকার, বাংলাদেশে যা ঘটছে তার সমর্থনে রাস্তায় বিক্ষোভকারী কিছু বাংলাদেশিকে স্থানীয় আইন লঙ্ঘনের কারণে কারাগারে পাঠানো হয়। আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর আমিরাতের প্রেসিডেন্টের কাছে তাদের মুক্তি আবেদন করেছিলাম, আমি তাকে ব্যাখ্যা করেছিলাম কেন তারা এটা করেছে। এসব মানুষ আমিরাতের স্থানীয় আইন হয়ত ভঙ্গ করেছে, তবে তারা কেবল বাংলাদেশে যা ঘটছে তার প্রতি তাদের উৎসাহ এবং সমর্থন প্রকাশ করছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি খুবই খুশি যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট আমার অনুরোধে এই বন্দীদের মুক্তি দিয়েছেন। আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো কারণ আমাদের এখানে (সংযুক্ত আরব আমিরাতে) ১২ লক্ষ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ইএইচ