আমার সংবাদ ডেস্ক
মার্চ ২০, ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
মার্চ ২০, ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
চাঁদাবাজি, মনোনয়ন বাণিজ্য ও দলীয় ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি মনোনয়নে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই অর্থ গ্রহণের মূল সুবিধাভোগী তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের। চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ না করায় প্রফেসর মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী এক নেতাকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং তার স্থলে জি এম কাদেরের স্ত্রী শরিফা কাদের সংসদ সদস্য হন।
পদবাণিজ্য ও অর্থ পাচারের বিষয়ে অভিযোগে বলা হয়েছে, জি এম কাদের জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং দলীয় পদ বাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করেন, যা পরে বিদেশে পাচার করা হয়। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট হলেও বর্তমানে ৬০০-৬৫০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা পদ বাণিজ্যের প্রমাণ।
অন্যদিকে অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জি এম কাদেরের দাখিলকৃত হলফনামা অনুযায়ী, জি এম কাদেরের নামে নগদ ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি রয়েছে। তার স্ত্রী শরিফা কাদেরের নামে নগদ ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, ব্যাংকে ২৮ লাখ ৯ হাজার টাকা এবং ৮০ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি রয়েছে। তিনি দেশে-বিদেশে (সিঙ্গাপুর, লন্ডন, সিডনি) নামে-বেনামে সম্পদ পাচার করেছেন।
দুদকের গোপন অনুসন্ধানে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। তাই প্রকাশ্য অনুসন্ধানের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক মহাপরিচালক।
৪ বারের সংসদ সদস্য জি এম কাদের তার ভাই হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০০৯-২০১৪ সালে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
বিআরইউ