আমার সংবাদ ডেস্ক
মার্চ ২১, ২০২৫, ১১:৩০ এএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
মার্চ ২১, ২০২৫, ১১:৩০ এএম
ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাত উপাচার্যসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালতে এমএ হাশেম রাজু বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানার ওসিকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
সাবেক সাত উপাচার্য হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আব্দুল মান্নান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম অহিদুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুপম সেন।
অন্যান্য শিক্ষকরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেজবা কামাল, অধ্যাপক ড. আবু জাফর মোহাম্মদ শফিউল আলম ভূঁইয়া, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাফর ইকবাল ও ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান নগরবিদ নজরুল ইসলাম।
এ ছাড়াও মামলায় প্রধান আসামিরা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ প্রমুখ।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের গতিপথ রোধ করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।
গুলি, হাতবোমা, পেট্রলবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এরপর মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে ও ছররা গুলি নিক্ষেপ করে, যার ফলে সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের ডান চোখ গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলার পর তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের সদস্যরা তাকে মারধর করে বলে মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিআরইউ