Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

কমেছে যমুনার পানি, কমেনি দুর্ভোগ

শুভ কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জ

শুভ কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জ

জুন ২৩, ২০২২, ০১:৩৯ পিএম


কমেছে যমুনার পানি, কমেনি দুর্ভোগ

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পানি বৃদ্ধির পরে আজ কমেছে যমুনা নদীর পানি। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর ও শহর রক্ষা বাঁধ এই পয়েন্টেই গত ২৪ ঘণ্টায় পানি কমেছে। পানি কিছুটা কমলেও এখনো বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বানভাসিদের দুর্ভোগ কাটতে সময় লাগবে আরও কিছুদিন।

জেলার কাজিপুর পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান।

এদিকে জেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় শতাধিক গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এতে নিম্নাঞ্চলের মানুষ যেমন পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়ছে তেমনি নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ফসল। ইতিমধ্যেই জেলার ৬০৯২ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

এছাড়াও, ইতোমধ্যেই জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এ সকল এলাকার বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্যা কবলিতরা।

এদিকে কাজ না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার শ্রমজীবীরা। পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহার-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন অনেকেই। বন্যা কবলিত বেশিরভাগ এলাকায় এখনো শুরু হয়নি সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ বিতরণ।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান জানান, আমরা ইতিমধ্যেই ত্রাণ ও শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। জেলার চৌহালী উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ করা শুরু হয়েছে। এখন খুব দ্রুতই সবজায়গাতেই বিতরণ করা হবে। 

তিনি বলেন, জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর এই ৫ উপজেলায় ইতিমধ্যেই ১৪০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্ধ দিয়েছি। ইতিমধ্যেই চৌহালীর জন্য ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও শিশু খাদ্য সহ অন্যান্য শুকনো খাবার মজুদ আছে।

তিনি আরও জানান, বন্যার্তদের জন্য ইতিমধ্যেই ৯১১ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২০ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে থেকে ১৪০ মেট্রিক টন চাল, ৬ লাখ টাকা ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ শুরু করা হয়েছে। বাকিগুলো এখনও মজুদ আছে। পর্যায়ক্রমে এগুলোও বিতরণ করা হবে। প্রয়োজনে আরও চাহিদা দেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। 

আমারসংবাদ/এআই 

Link copied!