সুুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
জুন ৩০, ২০২২, ০৬:৫৪ পিএম
সুুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
জুন ৩০, ২০২২, ০৬:৫৪ পিএম
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিস্তার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি নির্মাণের পর থেকে মেরামত, সংস্কার, সংরক্ষণের অভাবে বৃষ্টির তোঁড়ে অসংখ্য খানা-খন্দে ভরে উঠেছে। যেকোন মুহূর্তে বাঁধটি ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে বাঁধটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গত দুই সপ্তাহের অবিরাম বর্ষণের কারণে বাঁধটি কামারজানি পয়েন্ট হতে পাঁচপীর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া বাঁধটির দুই ধার গড়ে উঠাছে অসংখ্য বসতবাড়ি।
হরিপুর ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন জানান, বর্তমানে বাঁধটির বেহাল দশা। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বাঁধটি মেরামত করা হয়নি। সে কারণে বছরের পর বছর বৃষ্টির তোঁড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বড় ধরনের বন্যা ধাক্কা দিলে বাঁধটি ধসে এবং ভেঙে যাবে।
যদি কোন কারণে বাঁধটি ভেঙে যায়, তাহলে গাইবান্ধা জেলার ৮২টি ইউনিয়ন পানিতে ডুবে যাবে। বাঁধটি অত্যন্ত বিপদজনক হয়ে পড়েছে। মেরামত এবং সংস্কার একান্ত প্রয়োজন।
শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম মুকুল জানান, গাইবান্ধা সদরের কামারজানি স্লুইচ গেট হতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর বাজার পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটির অত্যন্ত নাজক অবস্থা।
চরের অসংখ্য জমি জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবার বাঁধটি দুই ধারে বসতবাড়ি গড়ে তুলেছে। সে কারণে বাঁধটির তার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। বাঁধটি মেরামত অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। যে কোন মহূর্তে বাঁধটি ধসে এবং ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫ কিলোমিটার । গোটা বাঁধটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় বর্তমানে অসংখ্য পয়েন্টে খানা-খন্দে ভরে গেছে।
সরেজমিন বাঁধটি পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রির্পোট পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে মেরামতে চেষ্টা চলছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, বাঁধটি আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ। বিষয়টি উপরে জানানো হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বড় বড় গর্ত সমুহ মেরামত করা হচ্ছে।
স্থানীয় এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানান, বাঁধটি সংস্কার মেরামত এবং সংরক্ষণের জন্য কয়েক দফা সংসদে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফলপ্রসু অগ্রগতি হয়নি। বাঁধটি ধসে বা ভেঙে গেলে জেলার ব্যাপক ক্ষতি হবে।