Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪,

নান্দাইল চৌরাস্তা চত্বর মহাসড়কে গর্ত, জনদুর্ভোগ চরমে

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

জুলাই ১, ২০২২, ১২:১৩ পিএম


নান্দাইল চৌরাস্তা চত্বর মহাসড়কে গর্ত, জনদুর্ভোগ চরমে

ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল চৌরাস্তা গোল চত্বর নামক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় জনসাধারণসহ যানবাহন চালকদের চরম দুর্ভোগ পােহাতে হচ্ছে । ব্যস্ততম এই মহাসড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান হচ্ছে নান্দাইল চৌরাস্তার এই টার্নিং পয়েন্ট। 

এ টার্নিং পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আগত দূরপাল্লার যানবাহনসহ ছোট-বড় সহস্রাধিক যানবাহন প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের সবটুকু রাস্তা ভালো থাকলেও ভালো নেই নান্দাইল চৌরাস্তার গোলচত্ত্বর। 

প্রতি বছর বর্ষা এলেই মহাসড়কের এই স্থানে রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে বৃষ্টির পানি জমে রাস্তার বিটুমিন নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রায় ১০/১২টি বড় বড় খানা-খন্দ দেখা দিয়েছে। এতে যানবাহন চালক মোড় ঘোরাতে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। যেকোন সময় গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে গিয়ে যানবাহন উল্টে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। 

জানা গেছে, মহাসড়কের এই গোল চত্বরের গর্ত ভরাট করলেও বার বার কার্পেটিং নষ্ট হয়ে পুনরায় গর্তের সৃষ্টি হয়, আর ভোগান্তিতে পড়ে জনসাধারনসহ ছোট বড় সবধরনের যানবাহন। নান্দাইল চৌরাস্তা গোলচত্ত্বরে অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণ ও কাজে অনিয়ম এবং পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর এ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে ধারনা করছে যানবাহন ও যাত্রীসাধারণ।

বৃষ্টির পানি গোলচত্ত্বরের ওয়ালের উপর দিয়ে এবং নিচ দিয়ে পানি ছুইয়ে পড়ার কারনে সবসময়ই এর চারপাশ পানিতে ভিজে থাকে। এতে মহাসড়কের ভিটুমিন নষ্ট হচ্ছে। ফলে রাস্তার বিটুমিন নষ্ট হয়ে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে এবং বড় খানাখন্দ তথা গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে।

এছাড়া রাস্তার কার্পেটিং একজায়গায় জড়ো হয়ে উচু-নীচু ঢেউয়ের মতো অবস্থা বা স্পিড ব্রেকারে পরিণত হয়েছে। ফলে যানবাহন চালকদের অজান্তেই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। 

কয়েকজন যানবাহন চালক জানান, নান্দাইল চৌরাস্তার টার্নিং পয়েন্টে আসলেই তারা আতংকের মধ্যে দিয়ে চলতে হয়। 

স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরই রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। তখন সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকজন এসে গর্ত ভরাট করে নতুন করে কার্পেটিং করে দিয়ে যায়। কিন্তু এ দুর্ভোগের শেষ হয় না।

ব্যস্ততম এ গোলচত্ত্বরে দুর্ঘটনার রোধকল্পে মহাসড়কের গর্তগুলো ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে যাত্রী সাধারণ ও যানবাহন চালকরা। 

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগে নান্দাইল উপজেলার দায়িত্বরত উপসহকারী প্রকৌশলী মাইজুল ইসলাম বলেন, নান্দাইল চৌরাস্তা গোলচত্বরে রাস্তার খানা-খন্দ ও পানি নিষ্কাশনের বিষয়টি স্থায়ী সমাধানের জন্য উন্নত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্ষা শেষ হলে খুব শিগগিরই তা বাস্তবায়ন হবে।

আমারসংবাদ/টি এইচ  

Link copied!