Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪,

অধ্যক্ষকে অবমাননার ঘটনায় ওসিকে স্থানান্তর

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইল প্রতিনিধি

জুলাই ৩, ২০২২, ১১:৩৮ এএম


অধ্যক্ষকে অবমাননার ঘটনায় ওসিকে স্থানান্তর

নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবিরকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩ জুলাই) সকালে নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় জানান, খুলনা উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) কার্যালয় থেকে তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে এ সংক্রান্ত খবর পাওয়া গেছে। শওকত কবীরকে নড়াইল সদর থানা থেকে খুলনায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মাহামুদুর রহমানকে ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লেখেন— প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম। এ পোস্ট দেওয়ার পর গত ১৮ জুন সকালে কলেজে আসেন রাহুল। এরপর তার বন্ধুরা পোস্টটি মুছে ফেলতে বললেও পোস্ট ডিলিট করেনি রাহুল।

শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান। একপর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের সব শিক্ষকদের পরামর্শে রাহুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরইমধ্যে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়ে। ঘটনার সময় দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

এসময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও কর্মকর্তাদের সামনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর গলায় জুতার মালা পরিয়ে কলেজ থেকে বের করা হয়।

পরে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়। শনিবার রাতে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবার কথা নিশ্চিত করেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী কত পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন এটা না বললেও  শিক্ষকের গলায় জুতার মালাসহ সার্বিক বিষয় উল্লেখ করেছেন বলে জানান।

অপরদিকে একই ঘটনায় ২৩ জুন পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়, কমিটির অন্য সদস্য হলেন সদর থানার (ওসি তদন্ত) মাহামুদুর রহমান, বিশেষ শাখার কর্মকর্তা (ডি আই ওয়ান) মীর শরিফুল হক।

কেএস 

Link copied!