কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
জুলাই ৭, ২০২২, ০৩:৩৪ পিএম
কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
জুলাই ৭, ২০২২, ০৩:৩৪ পিএম
ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে উপজেলার হাট-বাজারে মসলার দোকানগুলোতে ভিড়ের মাত্রা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোরবানি ঈদে মাংস রান্নায় বিভিন্ন ধরনের মসলা দরকার হয়। এই ঈদে পশুর মাংস রান্না হয় প্রায় সব মুসলিম পরিবারের রান্নাঘরের হাঁড়িতেই।
এ কোরবানির পশুর মাংস সু-স্বাদ রান্নার জন্য অপরিহার্য উপকরণ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মসলা। তাই হালাল পশু জবাইক্রিত মাংস রান্নার জন্য কোরবানি দাতারা বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে নানান ধরনের গরম মসলা কিনছেন।
বিক্রেতারা বলেন, অন্য বছরগুলোতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজার চড়া থাকলেও এবারের মসলা বাজার স্থিতিশীল। মসলার চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি আর ক্রেতারা বাজারে এসে ইচ্ছেমত মসলা কিনছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গরম মসলার বাজারে এবার ক্রেতার ভিড়ে চাহিদার টানে উত্তাপ লাগেছে। কালাই পৌরসভাসহ উপজেলার মাত্রাই, উদয়পুর, জিন্দারপুর, পুনট ও আহম্মেদাবাদ ওই ৫টি ইউনিয়নে বিভিন্ন হাট-বাজারে কোরবানি ঈদ উপলক্ষে মসলার দোকানগুলোতে কোরবানি দাতারা ভিড় করছেন।
কোরবানিদাতারা হালাল পশু কেনার শেষ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এসে মসলা কিনছেন। তবে নির্দিষ্ট মসলার দোকান ছাড়াও এই সুযোগে মৌসুমী ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে মসলা বেচাকেনা চলে হরদম।
ওই সব মসলার দোকানগুলো থেকে এলাকার কোরবানি দাতারা এসে মাংস সু-স্বাধ রান্নার অপরিহার্য উপকরণ মসলাগুলো ক্রয় করছেন।
বাজার ঘুরে জানা গেছে, এই কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বর্তমান মসলার বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বস ১১শ থেকে ১১শ ৩৫ টাকা দরে। দারুচিনি প্রতি কেজি ৩শ ৮০ থেকে ৪শ টাকার দরে। জিরা প্রতি কেজি ৪শ থেকে ৪শ ২০ টাকার দরে ।
প্রতি কেজি তেজপাতা ১শ ১০ থেকে ১শ ২০ টাকার দরে। প্রতি কেজি সাদা-এলাচি ২৪শ থেকে ২৪শ ৫০ টাকার দরে। প্রতি কেজি কালো-ফল ১১শ থেকে ১শ ৫০ টাকার দরে । প্রতি কেজি কালো গোলমরিচ ৮শ থেকে ৮শ ৫০ টাকার দরে । প্রতি কেজি লবঙ্গ ১২শ থেকে ১২শ ৬০ টাকার দরে।
প্রতি কেজি ধনে ১শ ৫০ থেকে ১শ ৬০ টাকার দরে । প্রতি কেজি রসুন ৭৫ থেকে ৮০ টাকার দরে। প্রতি কেজি দেশী পিঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকার। প্রতি কেজি বিদেশী পিঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকার দরে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১শ ৩০ থেকে ১শ ৪০ টাকার দরে।
প্রতি কেজি আদা ৮০ থেকে ৮৫ টাকার দরে বিক্রি হচ্ছে। আর উপজেলার মসলার বাজারে দোকানগুলোতে এভাবেই মসলা বেচাকেনা চলে।
উপজেলার কালাইহাটে মসলা বিক্রেতা শ্রী বির্শন পাল বলেন, গরম মসলাসহ বিভিন্ন ধরনের মসলার একটা বড় অংশ কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আমদানি হয়ে থাকে। এবার মসলার চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় ক্রেতারা ইচ্ছেমত মসলা কিনছেন।
উপজেলার মোলামগাড়ী হাটে আরেক মসলা বিক্রেতা বজলুর রহমান বলছেন, মসলার দাম বাড়েনি। এবারের মসলা বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। কোরবানিদাতাদের পরিবারের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই মসলা সংগ্রহ করছেন।
কোরবানি ঈদে মসলা নিতে আসা উপজেলার মাত্রাইহাটে ডেন্টিস্ট্রি আতিকুর রহমান তালুকদার বলেন, ঈদের সময় যেহেতু স্পাইসি খাবার বেশি রান্না করা হয়, তাই মসলার চাহিদা একটু বেশি থাকে। একারণে মসলা কিনতে এসেছি।
সেখানে আরেক মসলা ক্রেতা রিজু তালুকদার বলেন, মাংস সু-স্বাধ রান্নার প্রধান উপকরণ হচ্ছে মসলা। এই কোরবানির ঈদের মাংস সু-স্বাধ রান্না জন্য বিভিন্ন ধরনের মসলা কিনেছি।
আমারসংবাদ/টিএইচ