Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪,

ইউনাইটেড হাসপাতালে নার্সের রহস্যজনক মৃত্যু

জামাল আহমেদ, ভৈরব

জামাল আহমেদ, ভৈরব

জুলাই ১১, ২০২২, ০৪:৫২ পিএম


ইউনাইটেড হাসপাতালে নার্সের রহস্যজনক মৃত্যু

ভৈরবে ইউনাইটেড হাসপাতাল এন্ড অর্থোপেডিক সেন্টারে ওই হাসপাতালের নার্স রিমা প্রামাণিকের (১৮) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সকালে পুলিশ এসে হাসপাতালের একটি কক্ষ থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে । স্বজনদের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান নিহতের স্বজনরা। 

জানা যায়, সোমবার ভোর রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ২০৩ নাম্বার কক্ষে ফাঁসিতে ঝুলে নার্স রিমা আত্মহত্যা করে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিহতের ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে ফেলেন। মৃত্যুর আগে নিহত নার্স রিমা প্রামাণিক একটি চিরকুট লিখে রেখে যান। ওই চিরকুটে কি লেখা আছে সাংবাদিকরা অনেক চেষ্টা করেও জানতে পারেনি।

এ বিষয়ে নিহতের বোন অনিমা প্রামাণিক ও চাচাসহ স্বজনরা জানান নিহত রিমা ছুটিতে বাড়িতে ছিলেন। শনিবার বিকেলে হাসপাতাল কৃতপক্ষ তাকে ফোন করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে রোববার রাতে হাসপাতালের একঠি কক্ষে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। তবে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেও তারা অবিযোগে জানান। এ ঘটনার সুষ্ট তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্তা নেয়ার দাবি জানান তারা।

ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানায়, ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করি। ফাঁসিতে মৃত্যু হলেও তাকে একই রুমে বেডে শোয়া অবস্থায় পায়। ফ্যানের একটি ওড়না ঝুলানো রয়েছে। নিহতের পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে, নিহতের হাতের লেখা কিনা সেটা মিলিয়ে দেখতে হবে। সর্বশেষ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে আত্মাহত্যা নাকি হত্যা।

এ বিষয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হানিফুর রহমান সুমন জানান, নিহত রিমা প্রামাণিক তার হাসপাতালে এইড নার্স হিসেবে ২ বছর যাবৎ কর্মরত। তবে সে পুলিশে চাকরি করবে বলে এখান থেকে চাকরির রিজাইন্ড লেটার দেয়  আমি তার রিজাইন লেটার ছিড়ে ফেলে দেয় এবং এখানে চাকরী করতে তাকে বুঝায়। তবে সে মানসিকভাবে একটু চিন্তিত থাকতো। শনিবার তাকে বাড়ি থেকে হাসপাতালে আনা হয় এবং রোববার রাত ৩ টার দিকে আমাকে ফোন করে জানায় সে চলে যাবে। তবে রাতের বেলায় যদি হাসপাতাল থেকে চলে গিয়ে বিপদে পড়ে। এজন্য সে যেন হাসপাতালেই থাকে তার সহকর্মীর মাধ্যমে বুঝানোর চেষ্টা করি। রাত ৩ টার দিকে খবর পায় একটি কক্ষে সে ফাসিতে ঝুলছে। খবর পেয়ে আমি বাসা থেকে এসে তাকে হাসপাতালে  ডাক্তারের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়। কিন্ত তাকে বাচাঁনো সম্ভব হলো না।  

কেএস

Link copied!