ভেড়ামারা প্রতিনিধি
জুলাই ১৮, ২০২২, ০৩:০০ পিএম
ভেড়ামারা প্রতিনিধি
জুলাই ১৮, ২০২২, ০৩:০০ পিএম
বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে পাটখেতে সবুজের সমারোহ। ভালো দাম পাওয়ায় এবার ব্যাপক পাট চাষ করেছেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলনও হয়েছে ভালো। তবে খরচ বেড়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, কৃষকের মাঝে ভালো জাতের বীজ, সময়মতো কৃষি প্রণোদনা, অনুকূল আবহাওয়া থাকায় পাটের ভালো ফলন হয়েছে। এ বছর উপজেলার ৪ হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে রবি-১ ও জেআরও-৫২৪ জাতের পাট আবাদ হয়েছে। এ বছর পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার ৫৮৩ মেট্রিক টন।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৪ হাজার কৃষক পাট চাষ করেছেন। পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে এবার ব্যাপক পাট চাষ হয়েছে। এর মধ্যে জুনিয়াদহ ইউনিয়নে ১ হাজার ৫৪০, ধরমপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ২৪০, মোকারিমপুর ইউনিয়নে ৮০০, বাহিরচর ইউনিয়নে ৪০০, চাঁদগ্রাম ইউনিয়নে ১৩০, বাহাদুরপুর ইউনিয়নে ১৭০ হেক্টর ও পৌরসভায় ১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে পাট লম্বায় ৬ ফুট ছাড়িয়ে গেছে। এক মাস পর কাটা শুরু হবে।
এদিকে জলাশয়, খাল, বিল, ডোবা ও নালায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চাষিরা। নির্বিঘ্নে যেন পাট জাগ দিতে পারেন, সে জন্য উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগকে আগে ভাগেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
নওদা খেমিরদিয়ার গ্রামের খলিলুর রহমান বলেন, ‘গত বছর পাটের বাজারে ভালো দাম পেয়েছি। অন্য ফসল চাষ না করে ৩ বিঘায় পাটের চাষ করেছি। পাটের গাছ মোটা ও লম্বা হওয়ায় এবারও ভালো ফলন পাব। গত বছর কৃষকেরা মণপ্রতি ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দাম পেয়েছিলেন।’
বাংলাদেশ পাট মন্ত্রণালয় থেকে পাট চাষ ও বীজ উৎপাদনে দেশসেরা পুরস্কারপ্রাপ্ত চর গোলাপনগরের পাটচাষি শাহানুর আলম সান্টু বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ৯৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি।
এছাড়া আরও ১০০ বিঘা জমিতে পাট বীজ উৎপাদনের জন্য চাষ করা হয়েছে। রবি-১ খুব ভালো জাতের পাট। আঁশ মোটা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। লাল পাটগাছে আঁশ সোনালি রং ও ঝকঝকে হয়।’
শাহানুর আলম সান্টু বলেন, ‘শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে, তাই খেত পরিচর্যায় খরচসহ অন্যান্য খরচ বেড়েছে। পাটের দাম আর একটু বাড়লে লাভবান হতে পারতাম।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শায়খুল ইসলাম বলেন, ‘ভালো মানের বীজ, সময়মতো সেচ, সার প্রয়োগের ফলে ফলন ভালোর দিকে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের ভালো গ্রোথ হয়েছে। এছাড়া কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এ বছরও পাটের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছি।’