Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

শিডিউল বিপর্যয়

যখন তখন লোডশেডিংয়ে সিলেটে ভোগান্তি 

সিলেটে ব্যুরো

সিলেটে ব্যুরো

জুলাই ২০, ২০২২, ০৪:২৪ পিএম


যখন তখন লোডশেডিংয়ে সিলেটে ভোগান্তি 

বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিলেটেও গতকাল মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ ঘোষিত সূচি অনুযায়ী লোডশেডিংয় করছে না। ফলে গ্রাহকেরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। কর্মকর্তা বলছেন, চাহিদার চেয়ে কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে সূচিও ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ বিভাগের পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী বুধবার (২০ জুলাই) সময়মতো লোডশেডিং মানা হয়নি। কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং ছিল। এ ছাড়া কোথাও কয়েক দফায় লোডশেডিং হয়েছে। এলাকাভেদে লোডশেডিংয়ের বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারের পর গ্রাহকেরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তবে সে অনুযায়ী লোডশেডিং না হওয়ায় গ্রাহকেরা বিপাকে পড়েছেন।

নগরের পনিটুলা, কালিবাড়ি, করেরপাড়া, হাওলাদার পাড়া ও আশপাশের এলাকায় রুটিন অনুযায়ী গতকাল বুধবার সকাল আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা লোডশেডিং হওয়ার কথা ছিল। অথচ সেখানে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত দফায় দফায় লোডশেডিং হয়েছে। এসব এলাকায় দ্বিতীয় দফা লোডশেডিং বিকাল পাঁচটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর তিনটা ২০ মিনিটে ফের লোডশেডিং হয়েছে।

এ বিষয়ে বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৪-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের চাহিদার চেয়ে কম বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। এখানে চাহিদা ছিল ১৫ মেগাওয়াট অথচ সরবরাহ হয়েছে ১২ মেগাওয়াট। এজন্য সূচি মেনে লোডশেডিংয়ের করা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, আমদের পক্ষ থেকে যে সূচি দেওয়া হয়েছে সেটা বিদ্যুৎ প্রাপ্তি সাপেক্ষে। কিন্তু আমার চাহিদার কম পাচ্ছি। এজন্য প্রতিদিনই গ্রাহকদের নতুন করে সময়সূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বিভাগের চার জেলায় পিডিবির অধীন গ্রাহক আছেন ৪ লাখ ৮৫ হাজার। অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক আছেন প্রায় ১৯ লাখ। পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ মিলিয়ে বিভাগে বিদ্যুতের চাহিদা আছে প্রায় সাড়ে ৫০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে বিভাগের চার জেলায় গতকাল পিডিবির গ্রাহকদের বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২১০ মেগাওয়াট। এ অবস্থায় গতকাল ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে ৮৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং বিউবো কর্তৃপক্ষকে করতে হয়েছে। একইভাবে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরাও চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাননি।

সিলেট নগরের পনিটুলা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সুলতান আহমদ চৌধুরী (৬০) বলেন, সূচি অনুযায়ী দুইবার এক ঘন্টা করে লোডশেডিংয়ের কথা বলা হলেও তাদের এলাকায় একাধিকবার লোডশেডিংয় হয়েছে। এছাড়া লোডশেডিংয়ের সূচিও মানা হয়নি। ফলে বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

করেরপাড়া এলাকার গৌছ মিয়া (৪০) বলেন, তাঁদের এলাকায় চার থেকে পাঁচবার লোডশেডিং হয়েছে। সময়সূচি মানা হয়নি।

হাওলাদার পাড়ার গৃহিণী সুস্মিতা শেন (৩০) বলেন, সময়সূচি অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম; কিন্তু সূচি মানা হয়নি। যখন তখন বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সিলেট বিভাগীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির দুপুরে আমার সংবাদকে জানিয়েছেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ার কারণে সূচি অনুযায়ী লোডশেডিং করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সামনের দিনগুলোতে তা সমন্বয় করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

কেএস 

Link copied!