Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪,

খানাখন্দে ভরা ফতেপুর মাদার্শা ডিসি সড়ক, জনদুর্ভোগ

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

জুলাই ২৫, ২০২২, ০৩:১৮ পিএম


খানাখন্দে ভরা ফতেপুর মাদার্শা ডিসি সড়ক, জনদুর্ভোগ

খানাখন্দে ভরা ফতেপুর মাদার্শা ডিসি সড়ক, সামান্য বৃষ্টি হলে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে অটোরিকশাসহ বিভিন্ন গাড়ি, প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। 

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ১১নং ফতেপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মফজল মেম্বারের ঘাটা হইতে হেলাল চৌধুরীপাড়া পাইপের গোরা পর্যন্ত এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সড়কের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্ত গুলোতে সৃষ্টি হয় জলজট, তার উপর যান চলাচল করতে করতে একপর্যায় সৃষ্টি হয় খানাখন্দ। পর্যায়ক্রমে বড় হতে থাকে গর্ত গুলো। মাঝেমধ্যে ইট দিয়ে গর্ত ভরাট করে সংস্কার করা হলেও কিছুদিন পর সেই ইট ভাঙ্গা গুলো পানিতে মিশে গিয়ে ফিরে আসে পূর্বেকার রূপে। ভারী বর্ষণের সময় পানিতে নিমজ্জিত হয়ে সড়কটি যেন নদীর রূপ ধারণ করে। 

জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ছাড়াও গড়দুয়ারা ও মাদার্শা ইউনিয়নের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকা, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, ছাত্রছাত্রীসহ অনেকেই এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন। 

স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের বেহাল দশা, সবার ভাগ্য পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি এই সড়কের ভাগ্য। সড়কের এই অবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের যাতায়াত খুবই কষ্টকর। সড়কের কারণে জরুরি সেবার কোন গাড়ি সময়মত আসতে পারেনা। এমনকি অন্যান্য এলাকা থেকে এই এলাকায় কোন গাড়ি রিজার্ভ আসতে চাইনা। স্থানীয়রা অনেকসময় পায়ে হেটে মদনহাট তাদের নিত্যপ্রয়োজনে যায়, কিন্তু একটু বৃষ্টি হলেই তা আর সম্ভব হয় না, কারণ পায়েচলার অবস্থাও তখন আর থাকে না। 
স্থানীয় সিএনজি চালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা বলেন, আমরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাই, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে রাতে যখন ঘরে ফিরি তখন সমস্ত শরীর ব্যথা হয়ে যায়। ভাঙ্গাচুরা সড়ক দিয়ে গাড়ি চালালে অনেক ঝাঁকুনি খেতে হয়। যার কারণে প্রতিদিন ব্যথা বা জ্বরের ওষুধ সেবন করতে হয়। 

এছাড়া সপ্তাহে দুএকবার গাড়ি গ্যারেজে নিয়ে মিস্ত্রির শরণাপন্ন হতে হয়। বারবার করতে হয় মেরামত, পাল্টাতে হয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। এতে খরচ হয় মোটা অংকের টাকা। তাছাড়া কোন অসুস্থ লোক বা প্রসূতি মহিলা নিয়ে হাসপাতালে কিংবা ডাক্তারের কাছে যাওয়া খুবই মুশকিল হয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফতেপুর মাদার্শা ডিসি সড়কের এক কিলোমিটারের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে।

কেএস 

Link copied!