Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,

ঠাকুরগাঁওয়ে গুলিতে শিশু নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

জুলাই ২৮, ২০২২, ১১:৪০ এএম


ঠাকুরগাঁওয়ে গুলিতে শিশু নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

ঠাকুরগাঁওয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থামাতে গিয়ে পুলিশের ছোড়া গুলিতে শিশু নিহতের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সকালে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আসলে দুঃখজনক। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আমরা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সব সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।’

জেলা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ফলাফল ঘোষণা শেষে কেন্দ্র ত্যাগ করার সময় পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা আমাদের মোবাইল টিম ও সদর সার্কেলের ওপর হামলা করে।

কিছু সময় অতিক্রম হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও অস্বাভাবিক হয়ে যায়। আমাদের সদস্যদের ওপর তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠি চার্জ করে। এতে পরিবেশ আরও বেশি খারাপ হওয়ায় জান-মালের রক্ষার্থে পুলিশ চার রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, আমাদের দুজন পুলিশ সদস্য আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনায় দুবছর বয়সী শিশু মারা যায়। আসলে কীভাবে মারা গেলো এটি এখনো জানা যায়নি।

এটির জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহত শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর পাঠানো হবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে দাফন কার্য সম্পন্ন করা হবে।

নিহত শিশুটির চাচা মাসুম পারভেজ বলেন, আমার ভাইয়ের বউ তার ছোট মেয়েটিকে নিয়ে বাড়ির বাইরে ছিল। মেয়েটি তার কোলে ছিল। সেখানেই গুলিতে ভাজতির মৃত্যু হয়।

নিহত শিশুটির মা মিনারা বেগম বলেন, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে বাড়ির পাশের গলিতে দাড়াই ছিলাম। একটু পর গুলি আমার মেয়ের মাথায় এসে লাগে। আর মাথার খুলি ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যায়।

বুধবার সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থামাতে গিয়ে পুলিশের ছোড়া গুলিতে শিশু আশা নিহত হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংবাড়ি এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আশা উপজেলার মীরডাঙ্গী গ্রামের ফেরিওয়ালা বাদশা ও মিনারা বেগমের তৃতীয় সন্তান।


আমারসংবাদ/টিএইচ

Link copied!