মো. শাহজাহান ফকির, নান্দাইল (ময়মনসিংহ)
জুলাই ২৮, ২০২২, ০৩:১২ পিএম
মো. শাহজাহান ফকির, নান্দাইল (ময়মনসিংহ)
জুলাই ২৮, ২০২২, ০৩:১২ পিএম
ময়মনসিংহের নান্দাইলে স্বামী আব্দুল মালেকের পরকিয়ার প্রতিবাদ করায় কাল হয়ে দাড়ালো তিন সন্তানের জননী অসহায় কামরুন্নাহার (৩০) এর সংসার। বর্তমানে সে দুই কন্যা- সুমাইয়া (১০) ও রৌজামনি (২) এবং এক পুত্র জিসান (৭) নামের তিনটি শিশু সন্তান নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারের ঘুরছেন।
তবে স্বামীর দাবীকৃত ৪ লাখ টাকা দিতে পারলে স্বামীর সংসারে টিকে থাকতে পারবে বলে স্ত্রী কামরুন্নাহারকে জানায়। এ ঘটনায় আঃ মালেকের স্ত্রী কামরুন্নাহার নান্দাইল মডেল থানায় স্বামী ও কথিত প্রেমিকা মোছা. সালমা আক্তার (৩৫) নামের এক নারী বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কামরুন্নাহারের স্বামী আব্দুল মালেক নান্দাইল উপজেলার দক্ষিণ বাঁশহাটি গ্রামের মো. আবু চান মুন্সির পুত্র। প্রায় ১১ বছর পূর্বে বিয়ে হয় মোছা. কামরুন্নাহারের। বিয়ের পর থেকে সংসার ভাল চলছিল। বড় মেয়ে সুমাইয়া ব্রাকে ৫ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে।
আঃ মালেক যশোহর জেলার কেশবপুর থানার মজিদপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. সালমা আক্তারের সাথে অবৈধ পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে প্রতিবাদ করলে স্ত্রীর কাছে ৪ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। স্ত্রী যৌতুকের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় স্ত্রীকে মারপিঠ করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
স্ত্রী কামরুন্নাহার জানান, সালমা আক্তারের প্ররোচনায় তাকে ও তার তিন সন্তানের ভরণপোষণ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে তার স্বামী আব্দুল মারেক। বর্তমানে কামরুন্নাহার এখন তিন সন্তানের ভরণপোষণ ও পড়াশোনার ব্যয়ভার চালাতে পারছেন না। অভাবের তাড়নায় তিন সন্তানকে নিয়ে তিনি মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন।
স্বামী আঃ মালেককে ফোন দিলে স্বামীর কথিত প্রেমিকা অজ্ঞাত স্থান থেকে বিভিন্ন রকম হুমকী ধমকি দিয়ে থাকে বলে অভিযোগে প্রকাশ করেন।
এ অবস্থায় তিন সন্তানের জননী অসহায় কামরুন্নাহার প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মালেককে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
নান্দাইল মডেল থানার উপ- পরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তাক আহাম্মেদ অভিযোগটির তদন্তভার গ্রহণ করেছেন।
আমারসংবাদ/এআই