Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

সেই নবজাতক শিশুটিকে আজিমপুর ছোট্ট মনি সদনে প্রেরণের প্রস্তাব

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

জুলাই ২৮, ২০২২, ০৯:৩৬ পিএম


সেই নবজাতক শিশুটিকে আজিমপুর ছোট্ট মনি সদনে প্রেরণের প্রস্তাব

ময়মনসিংহের ত্রিশালে আলোচিত জাহাঙ্গীর দম্পত্তি ও তার মেয়ে ট্রাক চাপায় মারা গেলেও মায়ের পেট ফেটে অলৌকিক ভাবে বেঁচে যাওয়া নবজাতক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের পাঁচ সদস্য মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসায় এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। এখন শিশুটির পরিচর্যার জন্য ঢাকাস্থ আজিমপুর ছোট্ট মনি সদনে প্রেরণের জন্য উপজেলা শিশুকল্যান বোর্ডের এক সভায় প্রস্তাব করা হয়। অপরদিকে শিশুটির দাদা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছেন ছোট্র নবজাতক শিশুটিকে তিনি নিজেই তার লালন পালন করবেন।

ব্রেস্টফিডিং সহ নানাবিধ সমস্যার কারণে শিশুটির যথাযথ পরিচর্যা এবং তার জীবন বাচানোর জন্যে বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের ১১ সদস্য বিশিষ্ট এক সভা ইউএনওর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিশু অধিকার আইন-২০১৩ এর ৮৯ ধারা অনুযায়ী শিশুটি সুবিধা বঞ্চিত শিশুটির পিতা মাতার মৃত্যুজনিত কারণে তারপরিচর্যার বিকল্প ব্যবস্থা নেই সেহেতু সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত  গৃহীত হয় যে নবজাতক শিশুটির পরিচর্যার জন্য সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অধীনস্থ আজিমপুর ছোট্টমনি সদনে প্রেরণ করা হউক বলে ১১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা  শিশুকল্যান বোর্ডের এক সভায় সর্বসম্মতভাবে  প্রস্তাব করা হয়।

গৃহীত প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর দিকে নবজাতক শিশুটির দাদা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু তার নাতির লালন পালনের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।

শিশুটির দাদা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু বলেন, আল্লাহ আমার ছেলে বউ নাতিকে কেড়ে নিলেও আরেক নাতিকে জন্ম দিয়ে গেছেন। প্রশাসন যেন কাছে আমার নাতিকে ফেরত দেয়। আমি তার লালন পালন করতে চাই। নবজাতক শিশুটি বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে সুস্থ আছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের রায়মনি গ্রাম থেকে জাহাঙ্গীর আলম তার আট মাসের অন্তসত্ত্বা স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য ত্রিশাল পৌর এলাকায় আসেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পারাপারের সময় দ্রুতগামী মালবাহী ময়মনসিংহগামী ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৩৫৮০ ট্রাকটি চাপা দেয়। এ ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের তিন জন নিহত হয়। অন্তসত্ত্বা রত্না বেগমের পেটে থাকা নবজাতক শিশু চাপ খেয়ে পেট ফেটে রাস্তায় প্রসব হয়। কথায় আছে রাখে আল্লাহ মারে কে। পরিবারের তিন সদস্য মারা গেলেও অলৌকিক ভাবে বেঁচে যায় শিশুটি। মা-বাবা, বোন হারা নবজাতক শিশুটির আশ্রয়ের জন্য ঢাকাস্থ আজিমপুর ছোট্ট মনি সদনে প্রেরণের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছেন উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। 

Link copied!