জুলাই ৩০, ২০২২, ০২:৩৫ পিএম
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করার তিন দিন পর খনিতে কর্মরত চীনা ও বাংলাদেশি ৫২ কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে কয়লা উৎপাদন সাময়কিভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৩০ জুলাই) সকাল থেকে পরীক্ষামূলক কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার বিষয়টি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার (২৭ জুলাই) খনির নতুন ফেজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ফলে কয়লা সংকটের কারণে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়া এবং উত্তরাঞ্চলে অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটাই কাটিয়ে উঠবে বলে আশা করছে খনি কর্তৃপক্ষ।
খনিতে ৩০০ জন চীনা ও ৪০০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক অবস্থান করছিল। এর মধ্যে ২৬ জুলাই ১৪৩ জন শ্রমিকের রেনডোম পরীক্ষা করা হয়। ১৬ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।
পরে ২৮ জুলাই ৩০৫ জন চীনা ও বাংলাদেশি শ্রমিকের করোনার নমুনা নেওয়া হয়। এর মধ্যে ২৯২ জন চীনা ও ১৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিক ছিল। ৩০৫ জনের মধ্যে ৩৪ জন চীনা ও ২ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, আমরা ২০ দিন পূর্বে থেকে প্রাথমিকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করেছি। সাধারণ প্রথম সাত দিন প্রাথমিকভাবে কয়লা উত্তোলন করা হয়। পরে তা চূড়ান্তভাবে কয়লা উত্তোলন করা হয়।
কিন্তু এরই মধ্যে কিছু শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। খনিতে কর্মরত চীনা শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্বের মতো যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছে, তাদেরকে খনির বাইরে রেখে নতুন করে করোনামুক্তভাবে খনিতে প্রবেশ করানো হবে।
করোনা আক্রান্ত চীনা শ্রমিকদের সংস্পর্শে গেছে তারা খনির বাইরে চলে গেছেন। যেসব শ্রমিক বাইরে গেছে তাদের খনিতে ফিরিয়ে আনা হবে।
তিনি আরও জানান, খনিতে যারা করোনা আক্রান্ত হয়নি তাদের দিয়ে খনির প্রাথমিকভাবে কয়লা উত্তোলনের কুপের উন্নয়ন কাজ করানো হবে।
আমারসংবাদ/টিএইচ