Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

হাতীবান্ধায় জমি দখলের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

জুলাই ৩১, ২০২২, ০৪:৩০ পিএম


হাতীবান্ধায় জমি দখলের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জোর করে জমি দখলের চেষ্টা ও মারধরের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী জব্বার ও তার দলবলের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জিয়ারুল হক বাদী হয়ে জব্বার আলীকে প্রধান আসামি করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলেন- হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম সারডুবি এলাকার আব্দুল জব্বার ও তার ছেলে এমদাদুল হক (৩৫),সাইদুল হক (৩৪), জাকিরুল হক (৩০) এবং একই এলাকার সফিয়ার রহমানের ছেলে (৩৫),আলতাফ হোসেন (৪০), রাশেদ ইসলাম (৩৫) ও সাফিউল হোসেন (৩০)।

এ বিষয়ে বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল বলেন, এই জমির বিষয়টি মিমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে বসা হয়েছিলো। সেখানে কাগজপত্র অনুযায়ী জমির প্রকৃত মালিক জিয়ারুল। তবে বৈঠকের রায় অমান্য করেন জব্বার ও তার লোকজন। তাই এ বিষয়ে মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভুক্তভুগী জীয়ারুল হকের সঙ্গে প্রতিবেশী অভিযুক্তদের বিরোধ চলছিলো। এ বিষয়ে স্থায়ীদের নিয়ে কয়েকবার সালিশ বৈঠক করেন তারা। শুধু তা-ই নয় ওই জমি বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে বসেও মিটমাটের করা হয়। তবে দখলকৃত জমি নিজের ক্রয়কৃত বলে দাবি করেন অভিযুক্তরা।

এরই জের ধরে গত মাসের ২৭ জুলাই সকালে ওই জমিতে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দেন অভিযুক্তরা। পরে নিরুপায় হয় গত বৃহস্পতিবার থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন জিয়ারুল হক।

অভিযোগ উঠেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম সারডুবি মৌজাস্থ জেএল ৯ এবং সাবেক খতিয়ান ১৬৯ হাল ২৫৭ দাগের সাবেক ৪৩১,৪৩৩ হাল ২০৮৩,২০২৫ দাগ ৪৩৬,৪৩৮ হাল ২০৭৮ সহ আরও অন্যান্য দাগে সর্বমোট ৩২ শতাংশ জমি ভুক্তভুগী জিয়ারুল হকের। তার সেই পৈতৃক কবলাকৃত জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে জব্বার ও তার লোকেরা ভুক্তভুগী জীয়ারুল হকের ওপর হামলার চেষ্টা চালান। তাকে অভিযুক্তরা প্রাণনাশের হুমকির দিয়েছেন বলে দাবি জিয়ারুল হকের। পরে নিরুপায় হয়ে এ ঘটনায় স্থায়ী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন ওই ভুক্তভুগী।

ভুক্তভুগী জিয়ারুল হক জানান, ওই স্থানে তাদের ৬ ভাইয়ের নামে ১ একর ৪০ শতক জমি রয়েছে। সেখান থেকে তার ৫ ভাই তাদের ভাগের জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। এ ছাড়াও তার বাবার নামে একই স্থানে ১৩ শতাংশ জমি দলিল মুলে আছে। যার সকল কাগজপত্র তার কাছে আছে। এদিকে নিজের ভাগের জমি দখল করতে গেলে প্রতিবেশী জব্বার ও তার তিন ছেলে এবং অপর প্রতিবেশী সফিয়ার রহমানের  তিন ছেলে তাকে বাধা দেন। এই জমির বিষয়কে কেন্দ্র করে পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুকছেন বলেন জানান জিয়ারুল হক।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জব্বার আলী জোর করে জমি দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এই জমি আমার ক্রয়কৃত। যার সকল কাগজপত্র আমার কাছে আছে। আমরা জিয়ারুলকে কোনো প্রকার হুমকি দিই নাই।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহা আলম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। দু‍‍`পক্ষের লোকের সাথে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে মিমাংসার চেষ্টা চলছে।

কেএস 

Link copied!