মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
আগস্ট ৩, ২০২২, ০৬:৩৭ পিএম
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
আগস্ট ৩, ২০২২, ০৬:৩৭ পিএম
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে বিভিন্ন জাতের ১৫ টি কাটা গাছের গুড়ি দিন দুপুরে উধাও এর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগের তীর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইসরাত জাহানের দিকে।
উপজেলা বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপ কর্মকর্তা গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে কমপ্লেক্স চত্বরে বিভিন্ন জাতের কয়েকটি গাছ অপসারণ করানোর জন্য স্মারকলিপি প্রদান করেন। এর পরিপেক্ষিতে বন বিভাগ ১০ অক্টোবর ২০২০ সালে ২ টি আম গাছ, ১০ টি ইপিল-ইপিল গাছ, ১টি কদম গাছ, ১টি শিমুল গাছ এবং ১টি শিশু গাছসহ মোট ১৫ টি গাছ উনচল্লিশ হাজার ছয়শত ষোল টাকা মূল্য নির্ধারণ করে গাছ গুলো কেটে রাখা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা আঙ্গিনায় সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে ১৫ টি গাছের মধ্যে ১ টি গাছের গুড়িও খুজে পাওয়া যায়নি। তবে হাসপাতালের বাউন্ডারীর ভিতরে পশ্চিম পাশে মোটা মোটা গাছের গুড়ির দাগ লেগে আছে মাটিতে। তবে ইসরাত জাহানের কক্ষে প্রবেশ করতেই দেখা যায় ঠিকাদার টিপু গাছের বিষয়ে তার সাথে কথা বলছে এবং টিপুর উপরে রেগে যেতেও দেখা যায়।
ঠিকাদার টিপু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইসরাত জাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, কিছু দিন আগে গাছ গুলো বিক্রী করবে কিনা জানতে চাইলে সে আমার সাথে খারাপ আচারন করে বলে গাছ বিক্রী করব কিনা সেটা আমার ব্যাপার। আমার মনে হয় সে গাছগুলো লুকাইয়া বিক্রি করে দিছে। স্থানীয়দেরও একই অভিযোগ,হাসপাতালের ষ্টাফদের সহযোগীতায় গাছগুলী বিক্রী হয়েছে।
এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইসরাত জাহানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জেনেও না জানার এমন ভান করে বলেন, কাটা গাছের খন্ড গুলো নিয়ে গেছে আমি আপনাদের থেকে প্রথম শুনলাম। যারা গাছ গুলো নিয়ে গেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা: মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, যেহেতু গাছগুলো আমাদের হাসপাতালের সম্পত্তি, কে বা কারা নিয়েছে তা আমরা দ্রুত খুঁজে বের করবো। আর এ বিষয়ে আমার উপজেলা কর্মকর্তা থানায় জিডি করেছে।
কেএস