গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
আগস্ট ৭, ২০২২, ০৬:২৮ পিএম
গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
আগস্ট ৭, ২০২২, ০৬:২৮ পিএম
শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার সিরাজ উদ্দিন কওমি মাদরাসার দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির তিনজন ছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে এক মসজিদের মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক বাবা শনিবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে গোসাইরহাট থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর মুয়াজ্জিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. রবিউল ইসলাম (২৫) বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার মরিচবুনিয়া গ্রামের তৈয়ব আলী ব্যাপারীর ছেলে। তিনি গোসাইরহাট উপজেলার দাসেরজঙ্গল বাজার বড় মসজিদের মুয়াজ্জিন। আজ রবিবার তাকে শরীয়তপুর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গোসাইরহাট উপজেলার সিরাজ উদ্দিন কওমি মাদরাসার পাশে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকতেন মুয়াজ্জিন মো. রবিউল ইসলাম। একই যায়গায় থেকে পড়াশোনা করতো ওই তিন শিশু। গত ১০ জুলাই রাত ৩টার দিকে শিশুদের পোষাক খুলে বলাৎকারের চেষ্টা করে রবিউল ইসলাম। পরেরদিন সকালে বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায় শিশুরা।
একজন ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আমার শিশু ছেলেসহ আরও দুইজন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ওই মাদরাসার মুয়াজ্জিনের কাছে কোনো শিক্ষার্থীই নিরাপদ নয়। আমি এঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম সিকদার বলেন, আসামি রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও যৌন নিপীড়নের অপরাধ আইনে মামলা করা হয়েছে। রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে রবিউলকে আদলতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ওই মুয়াজ্জিন রবিউলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
কেএস