Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে গৃহবধূ

বরিশাল ব্যুরো

বরিশাল ব্যুরো

আগস্ট ১৭, ২০২২, ০৬:৩৫ পিএম


পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে গৃহবধূ

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপাশা গ্রামের বশির জোমাদ্দারের স্ত্রী হনুফা বেগম (৩৫) গৃহবধূর জীবন সংকটাপন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ওই নারী অচেতন অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হনুফার ভাই আল-মামুনের সাথে কথা হলে জানান, গত ৩০ জুলাই তার বোন অসুস্থ বোধ করলে পার্শবর্তী জেলা পটুয়াখালীর লাউকাঠি ইউনিয়নের জামুরা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক গোড়া চাঁদশীল (খোকন) কাছে চিকিৎসার জন্য তার বাবা ও বোনকে নিয়ে যান। তিনি কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ব্যবস্থাপত্রে ১৫ প্রকারের ওষুধ লিখে দেয়। ওই ওষুধ খাওয়ার পরে তার বাবা ও বোন আরও অসুস্থ হয়ে পরে। 

আশংকাজনক অবস্থায় ৪ আগস্ট তাদের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাবা শাওজাহান খন্দকার কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলেও তার বোনের এখনও পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি। শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্বর অসুস্থ হনুফার ভাই পটুয়াখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কোনো ধরনের ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।

এ বিষয়ে পল্লী চিকিৎসক গোড়া চাঁদ শীল খোকন বলেন, রোগী আমার কাছে যখন নিয়ে এসেছে তখনি খুব খারাপ অবস্থা ছিল। রোগীর খুটিনাটি সব দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এতে কোন ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। তার দেয়া চিকিৎসা সঠিক বলে তিনি দাবি করেন।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে শেবাচিম হাসপাতালের মহিলা মেডিসন ইউনিট-৪ এর কর্মরত চিকিৎসক জানান, ওই রোগী গত ৪ অগস্ট আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেবাচিমে ভর্তি হয়েছে। ডায়াবেটিকের ওষুধ সেবনের কারণে তার সুগার ফল্ট করেছে। ভর্তির পর তার বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। বিভিন্ন চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তার জ্ঞান ফেরেনি। তারপরও চিকিৎকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেএস 

Link copied!