মিলন (কুষ্টিয়া) খোকসা
আগস্ট ১৮, ২০২২, ০১:৪৫ পিএম
মিলন (কুষ্টিয়া) খোকসা
আগস্ট ১৮, ২০২২, ০১:৪৫ পিএম
কুষ্টিয়ার খোকসায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় শোমসপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির মানবিক শাখার মেধাবী ছাত্র রাব্বি (১৪) কে গুরুতর আহত। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আহত স্কুল ছাত্র রাব্বিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ছাত্রকে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে প্রতিকার পেলেন না মা-বাবা।
প্রধান শিক্ষক বললেন, তিনি পুলিশ নন, কারো উপর হামলা হলেই তিনি ঝাঁপিয়ে পরবেন। বাবা মায়ের দাবি ওই স্কুলে পড়তে গেলে আমার সন্তান কবে যেন লাশ হয়ে ফেড়ে আমরা আতঙ্কে আছি।
উপজেলার শোমসপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির মানবিক শাখার মেধাবী ছাত্র রাব্বি’র বন্ধুদের সাথে একই শ্রেণির শিক্ষার্থী মুগ্ধ ও সাইমের বিরোধ হয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে বুধবার দুপুরে টিফিনের সময় রাব্বিকে স্কুল থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে একটি রাইস মিলের পিছনে আটকে বেধরক মারপিট করা হয়। এ সময় স্থানীয়রা আহত ছাত্রটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
আহত ছাত্র উপজেলা সদরের পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তৈহিদুলের ছেলে। তিনি পেশায় একজন নির্মান শ্রমিক।
হামলার ঘটনার পর আহত ছাত্রকে নিয়ে তারা বাবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আযেন উদ্দিনের কাছে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রতিকার না পেয়ে থানা পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। অবশেষে প্রতিকার না পেয়ে আহত ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। এ দিন সন্ধায় ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে আহত ছাত্রটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভীর্ত করা হয়েছে।
চিকিৎসাধিন আহত ছাত্র টি জানান, কয়েকদিন আগে কিশোরে গ্যাং লিডার মুগ্ধ ও সাইমের সাথে তার অন্য সহপাঠিদের বিরোধ হয়। এ ঘটনার পর মুগ্ধ তাকে (রাব্বিকে) মারার হুমকী ধামকী দিতে থাকে। এ নিয়ে ছাত্রটি শিক্ষকদের কাছে নালিশ জানায়। এ ঘটনার সূত্র ধরে টিফিন চলা কালে তাকে স্কুল থেকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি রাইস মিলের পাশে নির্জন স্থানে তাকে লোহার রড, হকিস্টিক দিয়ে বেধরক মার পিট করতে থাকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। তার আত্ম চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে খবর দেয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সেখানে না গিয়ে বিষয়টি চেপে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত ছাত্রের বাবাকে ডেকে নিয়ে ছেলে তুলে দেন।
আহত স্কুল ছাত্রের পিতা নির্মান শ্রমিক তৈহিদ জানান, ছেলে উপর হামলা খবর পেয়ে তিনি ঘটনা স্থলে যান। হামলার শিকার ছেলে (রাব্বি) প্রায়খানা করে ফেলে। তাকে পরিস্কার করে তিনি প্রথমে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আয়েন উদ্দিনের কাছে যান। ঘটনা শোনার আগে তিনি অপরাধিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অপারোগতা প্রকাশ করেন।
প্রধান শিক্ষক আয়েন উদ্দিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি পুলিশ নন, কেউ হামলার শিকার হলে তিনি ছুটে যাবে। তিনি চরম উত্তেজিত হয়ে ফোন কেটে দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শেখ আল মুকিম বলেন, হামলায় আহত ছাত্রের পিঠ, বাহু ও পশ্চাদাংশে অনেক রক্তজমাট আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমানের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কোন অভিযোগ পাননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে কোন খবর তিনি শোনেননি।
কেএস