Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

কলমাকান্দায় বিএনপির সভায় হামলা, আহত ২০

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

আগস্ট ২১, ২০২২, ১২:৫৯ পিএম


কলমাকান্দায় বিএনপির সভায় হামলা, আহত ২০

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বিএনপি ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা চলাকালে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি নেতাদের দাবি যুবলীগ নেতা-কর্মীরা তাদের আলোচনা সভায় হামলা চালিয়েছে। এতে বিএনপির ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

এদিকে যুবলীগ নেতাদের দাবি সভা চলাকালে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উল্টাপাল্টা শ্লোগান দিচ্ছিল বিএনপি নেতারা। তাদের নিষেধ করতে গেলে উল্টো আমাদের নেতা-কর্মীদের মারধর করে।

তবে এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

বিএনপির দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নে বামনগাঁও গ্রামে পল্লী চিকিৎসক লতিফের বাড়িতে সভা চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে খারনৈ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক গেধু মিয়া, একই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আক্কাছ আলী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কলি আক্তার, ডা. লতিফ, কাসেম, সোহেল, খালেক মেম্বার, রতন আকুঞ্জিসহ বিএনপির অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কলি আক্তার জানান, আমরা ৬নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা শেষে কমিটিতে অন্তর্ভ্ক্তূদের নাম প্রকাশকালে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও হারুন মন্ডলের নেতৃত্বে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের ৪০-৪৫ জন রামদা, রড ও বৈঠা নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমার কোমরে কয়েকটি আঘাত করেছে। ডা. লতিফসহ আরো ২০-২২ জনকে বেড়ক পিঠিয়েছে। আহতের ভয়ে কলমাকান্দা হাসপাতালে যেতে পারছেন না তারা। অনেকে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত লতিফকে দুর্গাপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

খারনৈ ইউপি চেয়ারম্যান ওবাইদুল হক জানান, সভার বাড়িটি চারপাশে বেড়া দেওয়া, বাহির থেকে দেখা যায় না। সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনায় করছিল বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সেকানে রামদা ও লাঠিশোঠা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। ইউনিয়ন আহবায়ককে মারধর করেছে। চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুরসহ ১৫-২০ জনকে  মেরে মারাত্মক আহত করেছে। তাদেরকে ভয়ে কলমাকান্দা হাসপাতালে আনার সুবিধা নাই। তাই তাদেরকে দুর্গাপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাউসাম বাজার থেকে আমার ভাতিজা গ্রাম্য পশু চিকিৎসক শফিকুল ইসলামকে বিনা কারণে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।

খারনৈ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওরা আমাদের নেত্রীর বিরোধে শ্লোগানসহ আবোল তাবোল কথা-বার্তা বলতেছিল। পরে আমরা লোকজন গিয়ে বলেছি তোরা মিটিং কর, নেত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলো কেন। এসব বলায় তারা আমাদের নেতা-কর্মীদের মারধর করে।

ইউপি যুবলীগ নেতা হারুন মন্ডল জানান, এখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গিয়েছিল। মিটিংয়ের জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার দরকার ছিল। বলা হয়েছিল অনুমতি নিয়ে মিটিং করবা। ওরা ওভারটেক করে মিটিং করছে। ছেলে-পোলে গিয়ে না করে দিয়েছে। ওরা (বিএনপি) চলে গেছে । বিএনপি নেতা কর্মীদের ওপর মারধর ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর এই সব কিছু করা হয় নাই।

কলমাকান্দা থানার ওসি মো. আবদুল আহাদ খান জানান, স্বেচ্ছাসেবকলীগের ওপর বিএনপি হামলা করেছে এই খবরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে বিএনপির কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ করেননি।

কেএস 

Link copied!