Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ক্লাস ফাঁকি দিয়ে টিকটক: ৩ ছাত্রীকে স্কুল থেকে ছাড়পত্র

বরিশাল ব্যুরো

বরিশাল ব্যুরো

আগস্ট ২২, ২০২২, ০৪:২২ পিএম


ক্লাস ফাঁকি দিয়ে টিকটক: ৩ ছাত্রীকে স্কুল থেকে ছাড়পত্র

ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে-ঘুরে টিকটক করার দায়ে তিন ছাত্রীকে ছাড়পত্র দিয়েছে বরিশালের হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্রপত্রপ্রাপ্ত তিন শিক্ষার্থীই নবম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গেছে।

রোববার (২১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম ফখরুজ্জামান। তিনি বলেন, নবম শ্রণির ওই তিন ছাত্রী স্কুলের পোশাক পরা অবস্থায় ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ছেলে বন্ধুদের নিয়ে নৌকায় ঘুরে বেড়াত। টিকটক ভিডিও বানাত। এছাড়া শ্রেণি শিক্ষকদের দেওয়া মতামতে ক্লাস পারফরমেন্সও ভালো ছিল না। আমরা তাদের ক্লাস ফাঁকি দেওয়া এবং ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও পায়। সেগুলো তাদের অভিভাবকদের ডেকে তাদের সামনে উত্থাপন করি এবং ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কঠোর হতে হয়েছে, কারণ তাদের নিয়ম মেনে না চলার প্রভাব হয়তো বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীর ওপর পড়তে পারে। তখন বিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন লঙ্ঘিত হবে। কারণ তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে, ভিডিও বানাচ্ছে এসব অন্য শিক্ষার্থীরা দেখলে তারাও চাইবে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এমন কাজ করতে। এজন্য এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

ওই তিন শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানিয়েছে, স্কুলড্রেস পরিহিত অবস্থায় তারা বন্ধুদের নিয়ে নৌকায় ঘোরাঘুরি করে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্পটে গিয়ে আড্ডারত অবস্থায় তাদের বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি অভিভাবকসহ শিক্ষকদের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর ওই ভিডিও প্রধানশিক্ষকের কাছে প্রমাণ হিসেবে দেখিয়ে তাদেরকে স্কুল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার দাবি করা হলে তিনি তাদের ছাড়পত্র দেন।

একাধিক অভিভাবক দাবি করেন, স্কুলের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা আমরা সমর্থন করি। ওই তিন ছাত্রীর দোষের চেয়ে বড় দোষ হচ্ছে তাদের অভিভাবকদের। তাদের সন্তান কোথায় যায় কী করে তা খেয়াল রাখা উচিত।

শিক্ষক সুদর্শন চৌধুরী জানান, ওই তিন ছাত্রী স্কুলে এলেও তারা ক্লাস ফাঁকি দিতো। এ ছাড়া তাদের লেখাপড়ায় ছিল অনীহা। বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের জানালেও তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। স্কুলের পরিবেশ ভালো রাখতে টিচার কাউন্সিলের সভা করে ওই তিন ছাত্রীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি বিদ্যালয়ের সভাপতি বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারের কাছ থেকে। মুঠোফোনে ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে দুই দিন চেষ্টা করা হলেও তার পক্ষ থেকে কোনো উত্তর আসেনি।

আমারসংবাদ/এসএম

Link copied!