আজিজুল হক, চট্টগ্রাম
আগস্ট ২৩, ২০২২, ০৪:২২ পিএম
আজিজুল হক, চট্টগ্রাম
আগস্ট ২৩, ২০২২, ০৪:২২ পিএম
চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নজরদারি, দুর্ঘটনা ও অপরাধ পর্যেবক্ষণে ১৬ কিলোমিটার জুড়ে ২০০ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নগরীর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে প্রতিনিয়ত ছিনতাই সহ বিভিন্ন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে। ফ্লাইওভারে সিসি ক্যামেরা না থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের সনাক্ত করতে বেগ পেতে হচ্ছে।
সিএমপিথর সাবেক কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের পরামর্শক্রমে ফ্লাইওভারে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেয় সিডিএ। এসব ক্যামেরা মনিটরিং এর জন্য নগরীর কাটগড় এলাকায় সিডিএ একটি বহুতল মনিটরিং সেল টাওয়ার স্থাপন করবে।
প্রকল্পের পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে বিভিন্ন অনাকাক্সিক্ষত দূর্ঘটনা ঘটছে। রাতে ছিনতাইসহ নানা ধরণের অপরাধ সংঘটিত হয়। সিটি ক্যামেরা না থাকার কারণে অপরাধীকে শনাক্ত করতে পুলিশের বেগ হতে হচ্ছে।তাই আমরা সিটি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, আমরা অত্যাধুনিক ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই ক্যামেরা দিয়ে প্রায় দুই থেকে তিনশ মিটার পর্যন্ত কাভার করা যায়। কম্পিউটার বেইজ অনেক ইকুয়িপমেন্ট লাগবে। প্রায় ২০০ ক্যামেরা বসাতে হবে এবং এগুলো মনিটরিং এর জন্য বড় রুমের প্রয়োজন হবে। সেজন্য আমরা মনিটরিং ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিডিএ এবং সিএমপি আলাদাভাবে এগুলো মনিটরিং করবে। ফ্লাইওভারের রক্ষণাবেক্ষণ ও ধুলাবালি নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে।
এই সকল কাজ টোল আদায় করে আয় থেকে এসব খরচ মেটানো হবে।প্রকল্প পরিচালক বলেন, সিসি ক্যামেরা এবং মনিটরিং টাওয়ার আমাদের অনুমোদিত ডিটেইল প্রজেক্ট প্ল্যানে (ডিপিপি) ছিল না। এটা আমরা নতুন করে ডিপিপিতে যুক্ত করেছি। সিসি টিভির জন্য পাঁচ কোটি টাকা এবং ভবন নির্মাণের জন্য ৯ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা সী-বিচ পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। বিমানবন্দর কেন্দ্রিক যানজট নিরসনে সিডিএ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৯ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।
এআই