Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

রাঙামাটিতে দুই গ্রুপের গোলাগুলি: একজন নিহতের দাবি

মো. মাসুম বিল্লাহ

আগস্ট ২৪, ২০২২, ০১:৪০ পিএম


রাঙামাটিতে দুই গ্রুপের গোলাগুলি: একজন নিহতের দাবি

রাঙ্গামাটি জেলার দুর্গম পাহাড়ী এলাকা রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর ও লংগদু উপজেলার সীমান্তবর্তী কাট্টলীর ত্রিপুরাছড়া এলাকায় আঞ্চলিক দুটি গ্রুপের মাঝে ব্যাপক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় একজন নিহত ও চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহত ব্যাক্তি পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ এর সক্রিয় কর্মী শ্যামল চাকমা (৩৪)।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাত ৮ থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আড়াই ঘন্টার বন্দুকযুদ্ধে ঘটনা ঘটে। তবে হতাহত আরও বাড়তে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

ইউপিডিএফ এর মুখপাত্র অংগ্যা মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার রাতে জেএসএস এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা নানিয়ারচর-লংগদু সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করা ইউপিডিএফ কর্মী শ্যামল চাকমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। নিহত অংগ্যা মারমার বাড়ি রাঙ্গামাটি নানিয়ারচর উপজেলাধীন সদর ইউনিয়নে।

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর লংগদু শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা জানান, আমি স্থানীয়দের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। নানিয়ারচর-লংগদু উপজেলা সীমান্তবর্তী দুর্গম হারিক্ষণ এলাকায় কিছু সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে ঐ এলাকাটি তাদের নিয়ন্ত্রনাধীন এলাকা।

এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. ওবায়দুর রহমান জানান, আমরাও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে গুলিবিমিয়ের ঘটনা শুনেছি। তবে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা হতাহতের যে সংবাদগুলো শুনতে পাচ্ছি সেগুলোর সত্যতা এখনো খুঁজে পায়নি। যেহেতু এলাকাটি বেশ দুর্গম। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে এবং এলাকার পরিস্থিতি জানতে ওই এলাকায় রওনা করেছে।

এদিকে, লংগদু থানার তদন্ত ওসি মো. সানজিদ আহম্মেদ জানান, গোলাগুলির খবর রাতে শুনেছি। ঘটনাস্থলে এতোই দুর্গমে রাতে আমাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব ছিল না। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল সেখানে যাচ্ছেন। লাশ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত হতাহতের বিষয়টি এখনো পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারবো না। তারা ফিরে আসলে বিস্তারিত জানানো যাবে।

এদিকে বুধবার ভোর থেকেই ইউপিডিএফ বিরোধী জেএসএস এর কর্মী-সমর্থকরা নিজেদের ফেসবুক পেইজে কাট্টলীতে রাতের অপারেশনে ইউপিডিএফ এর ৬ সন্ত্রাসীকে হত্যা ও ঘটনাস্থল থেকে দুইটি একে-৪৭ রাইফেল লুট করে নিজেদের কব্জায় নিয়েছে বলে ফেসবুকে অস্ত্রের ছবি ও তথ্যাদির প্রচার প্রচারণা চালালেও এখনো পর্যন্ত তার কোনো রকম সত্যতা মেলেনি।

এবি

Link copied!