আল-আমিন, নীলফামারী
আগস্ট ২৪, ২০২২, ০২:২৪ পিএম
আল-আমিন, নীলফামারী
আগস্ট ২৪, ২০২২, ০২:২৪ পিএম
নীলফামারী ডোমার পৌর মেয়র মনছুরুল ইসলাম (দানু) সহ অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগ উঠেছে মেয়র মনছুরুল ইসলাম (দানু) ও অগ্রনী ব্যাংক নীলফামারী শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক রথীন্দ্র নাথ ও ডোমার শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম যৌথভাবে ২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মেয়র মনছুরুল ইসলাম দানু `শাওন অটো ব্রিকস লি.` এর নামে ১৫ কোটি ৭৫ লাখ ঋণ গ্রহন করেছিলেন। ঋণের মঞ্জুরীপত্রের শর্ত মোতাবেক ঋণের ১ম কিস্তি বিতরণের পর উক্ত পরিমান অর্থের ব্যবহার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে ২য় কিস্তির অর্থ ছাড়ের নির্দেশনা থাকলেও অগ্রণী ব্যাংক নীলফামারী ও ডোমার শাখার সাবেক দুই শাখা ব্যবস্থাপক ঋণের মঞ্জুরীপত্রের শর্ত না মেনে মনছুরুল ইসলাম দানুর চাহিদা মোতাবেক মঞ্জুরীকৃত ঋণের সমুদয় টাকা বিতরণ করেন। এতে চলতি বছরে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংকের সুদাসলে পাওনা ২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করেন যা সরকারি অর্থ আত্মসাতের শামিল।
অপরদিকে, মেয়র মনছুরুল ইসলাম দানু এলসির মাধ্যমে ২০১৬ সালের ২৩ জুন ও ১৩ আগস্ট মালামাল আমদানী করলেও বন্দর হতে উক্ত মালামাল গ্রহন না করায় চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চট্রগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের পোর্ট ড্যামারেজ বাবদ ২৭ কোটি এবং শুল্ককর বাবদ ৪ কোটি ১০ লাখ টাকাসহ মোট ৩১ কোটি১০ লাখ টাকা পাওনা। সরকারি অর্থ আত্মসাতের শামিল হয়েছেন। যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
উল্লেখ্য, মনছুরুল ইসলাম দানু বর্তমানে নীলফামারীর ডোমার পৌরসভার মেয়র। তিনি তৃতীয় বারের মত এই পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন।
জানতে চাইলে রংপুর দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাঈন শরীফ বলেন, মেয়র মনছুরুল ইসলাম ও অগ্রানী ব্যাংক নীলফামারী শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক রবীন্দ্র নাথ ও ডোমার শাখার শফিকুল ইসলাম যৌথভাবে ২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
কেএস