শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
আগস্ট ২৫, ২০২২, ০১:০৯ পিএম
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
আগস্ট ২৫, ২০২২, ০১:০৯ পিএম
গাজীপুরের শ্রীপুরে দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা আব্দুল কাদেরের নির্মাণাধীন বসতবাড়ী রাতের আঁধারের ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা।
বুধবার (২৫ আগস্ট) দিবাগত মধ্য রাত ২টায় উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের (মাওনা উত্তরপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আব্দুল কাদের বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অভিযুক্তরা হলো একই গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য জজ মিয়া (৪২), মৃত রহমত আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম (৪৫), ইসমাইল হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৫), আব্দুছ ছামাদের ছেলে রাজনসহ (২৭) তাদের ২৫/৩০ জন সহযোগী।
আব্দুল কাদের জানান, ১৯৮১ সালে ৫৫ শতাংশ জমি ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত ভোগদখল করে আসছেন। সম্প্রতি ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে অভিযুক্তরা রাস্তা দেওয়ার ইস্যু করে কাজে বাধা দেয়। এ ঘটনায় মাওনা ইউপি চেয়ারম্যান রোববার (২১ আগস্ট) উভয় পক্ষকে নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য বসে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান জমির মালিক আব্দুল কাদেরকে ৬ ফুট রাস্তা দেওয়ার অনুরোধ করেন। চেয়ারম্যানের কথা অনুযায়ী আব্দুল কাদের প্রতিবেশীদের চলাচলের জন্য তার ক্রয়কৃত জমি থেকে ৯ফুট রাস্তার জন্য ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় আব্দুল কাদেরের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় অভিযুক্ত জজ মিয়া, সফিক, ইমরান, রাজনের নেতৃত্বে তাদের ২৫/৩০ জন সহযোগী বুধবার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতের আঁধারে নির্মাণাধীন বসতবাড়ীতে হামলা করে ভাংচুর করে।
অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য জজ মিয়া বলেন, দীর্ঘদিনের চলাচলরে রাস্তা বন্ধ করে আব্দুল কাদের বসতবাড়ী নির্মাণ করছে। রাতের আঁধারে আব্দুল কাদেরের লোকজন নিজে ভেঙে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
মাওনা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকন জানান, স্থানীয়রা আমাকে জানায় ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা বন্ধ করে বসতবাড়ী নির্মাণ করছে। পরে রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুল কাদেরকে ৬ ফুট রাস্তা ছেড়ে কাজ করতে দেখি। পরে তিনি তাকে ৯ ফুট রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে জমির মালিক ওই পরিমান রাস্তা ছেড়ে দেয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামন জানান, রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে বসতবাড়ী ভাংচুরের খবর পেয়ে পুলিশের টহল টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেএস