সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
আগস্ট ২৮, ২০২২, ০২:৫৮ পিএম
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
আগস্ট ২৮, ২০২২, ০২:৫৮ পিএম
ফরিদপুরের সালথায় এক সন্তানের জননী সুমাইয়া আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন দাবি করছেন তাকে হত্যা করা হয়েছে। মৃত ওই গৃহবধূ পশ্চিম নটখোলা গ্রামের মোস্তাফা খালাসির মেয়ে এবং একই গ্রামের নটখোলা মীরের পাড়া এলাকার রোকন শেখ এর ছেলে ইমরান শেখ এর স্ত্রী।
রোববার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে বহনকারী ভ্যানের উপরেই মারা যায় ওই গৃহবধূ। পরে ওই গৃহবধুর দেবর ও তার স্ত্রী তাকে বাড়ি না নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ে যায়। তাদের ঘরে তিন বছর বয়সের তাসকিয়া নামের একটা কন্যা সন্তান রয়েছে।
ওই গৃহবধূ সুমাইয়ার বাবা মোস্তাফা খালাসি বলেন, চার বছর আগে একই গ্রামের মীরের পাড়া এলাকা রোকন শেখ ছেলে ইমরানের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে মাঝে মধ্যে মারধর করতো। সুমাইয়া আমার বাড়িতে চলে আসতো বুঝ-সান্তনা দিয়ে, কমবেশি টাকা পয়সা দিয়ে পাঠিয়ে দিতাম স্বামীর বাড়ি। ঘটনার বেশ কিছু দিন আগে থেকে ৫০ হাজার টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করছিলো জামাই। গতকাল বিকালে আমার কাছে সরাসরি টাকা চেয়েছিলো আমি দিতে অস্বীকার করলে আমার মেয়েকে ও রাতভর মারপিট করে। সকালে বেশি অসুস্থ হলে ময়েনদিয়া বাজারে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং বলেন ফরিদপুর ভালো হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যান। সেখান থেকে বাড়ি আনার পথেই সে মারা যায়। তিনি বলেন আমার মেয়ে কে ওরা মেরে ফেলেছে। ওদের কঠিন শাস্তি হোক। আমি এর বিচার চাই।
এদিকে অভিযুক্ত ইমরান পলাতক থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ইমরানের বাবা রোকন শেখ বলেন, আমার ছেলে এবং বউর মধ্যে কোন মনমালিন্য ছিলো না। যৌতুকের জন্য চাপ দেয়নি আমার ছেলে। সকাল বেলা হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে চিকিৎসা করি। ডাক্তার খানা থেকে আনার পথে সে মারা যায়।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শেখ সাদিক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেএস