পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
আগস্ট ২৮, ২০২২, ০৫:৪৭ পিএম
পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
আগস্ট ২৮, ২০২২, ০৫:৪৭ পিএম
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে লাশ হয়ে ফেরল নুসরাত জাহান (১৬) নামে এক কিশোরী। মামাতো বোনসহ গোমতি নদীতে গোসল করতে নেমে গোমতি নদীর পানিতে ডুবে যাওয়ার দুই ঘন্টা পর তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
রোববার (২৮ আগস্ট) খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের উত্তর পাড়ায় এলাকায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নুসরাত জাহান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বাসিন্দা মো: কাউসার আলমের মেয়ে। সে তার মামা মাটিরাঙ্গার বেলছড়ির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মো: আবদুল্লাহর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো।
স্বজনরা জানান, ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে নুসরাত জাহান মামাতো বোনসহ ৫ জন সহপাঠী বাড়িরে পাশে গোমতি নদীতে গোসল করতে যায়। পাঁচ জন গোসল করতে গেলেও মুহুর্তের মধ্যে নুসরাতসহ দুইজন গোমতি নদীর গভীর জলে ডুবে যায়। এসময় সাথে থাকা সহপাঠীদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এসময় প্রতিবেশীরা একজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও নুসরাত জাহানকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুই ঘন্টা চেষ্ঠার পর মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদল নুসরাত জাহানকে উদ্ধার করে।
পরে, তাকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. পিপাসা বড়ুয়া তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার পরপরই মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ। এ সময় তারা নিহতের স্বজনদের স্বান্তনা দেন।
মামার বাড়িতে বেড়াতে আসা কিশোরী নুসরাত জাহানের মৃত্যুর ঘটনাটি মেনে নেয়ার মতো নয়, জানিয়ে মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ বলেন, এঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পৈত্রিক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. শফিকুল আলম খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭ জনের একটি ডুবুরী দল স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টায় নুসরাত জাহানকে গোমতি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
মাটিরাঙ্গা থানার ইন্সুপেক্টর (তদন্ত) মো. আমজাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তি ও দু:খজনক। এ বিষয়ে স্বজনদের কোন অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তর করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
কেএস