টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
আগস্ট ৩০, ২০২২, ০৫:২৩ পিএম
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
আগস্ট ৩০, ২০২২, ০৫:২৩ পিএম
টাঙ্গাইলে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, সদর উপজেলার চৌবাড়ীয়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. শাহাদৎ হোসেন (৩৬) ও সখীপুর উপজেলার রতনপুর গ্রামের মৃত দরবেশ আলীর ছেলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মো. বাদল মিয়া (৪৫)।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগীতায় র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে র্যাব-১২,সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল’র কোম্পানী কোমান্ডার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান’র নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা জেলার আশুলিয়া উপজেলার কাইশাবাড়ী এলাকা থেকে মো. শাহাদত হোসেন ও অপর আসামি বাদল মিয়াকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা হাজীবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব ১২ এর ৩নং কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি ফুসলিয়ে বাদল মিয়া এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে পরিত্যক্ত ঘরে ছয় মাস আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। ওই বছর ২৯ জুলাই ওই ছাত্রীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে ওই ছাত্রীর ভাই বাদি হয়ে সখীপুর থানায় বাদল মিয়াকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বাদল মিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০১৮ সালের ১ জুন তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল ইসলাম বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলা চলাকালে বাদল মিয়া জামিনে মুক্তি পান। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। গত ১৬ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন বাদল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। এছাড়াও তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
র্যাব কমান্ডার আরও জানান, ২০০২ সালে দন্ডিত আসামি মো. শাহাদাৎ হোসেনের সাথে সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের আউলটিয়া গ্রামের জাহেরা খাতুনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ থেকে ৪ মাস পরে ১০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে শাহাদাৎ। জাহেরা খাতুনের পরিবার যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় শাহাদাৎ স্ত্রীকে নির্যাতন করে। পরে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর শাহাদাৎ স্ত্রীকে সাথে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যায়। পরের দিন ভোরে স্থানীয়রা বাড়ির দক্ষিন পাশে একটি পুকুরে জাহেরা খাতুনের লাশ ভেসে থাকতে দেখে। লাশ উদ্ধারের পর শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। ওইদিন নিহতের ভাই ইউনুস আলী বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। শাহাদাৎ হোসেন জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
যুক্তিতর্ক শেষে ১৩ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন আসামি শাহাদতের অনুপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ডের এ রায় ঘোষণা করেন।
কেএস