Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

নেত্রকোনার চাঞ্চল্যকর সেই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

আগস্ট ৩১, ২০২২, ০৮:০১ পিএম


নেত্রকোনার চাঞ্চল্যকর সেই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা নেত্রকোনার সেই নারীর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ওই নারীর স্বামী কামরুল হাসান সাজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে র‌্যাবের একটি টিম ঢাকার উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক এমএ আজিজ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গতকাল বুধবার তাকে ঢাকা হতে গাইবান্ধায় নেয়া হয়েছে। সাজু পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়ার আব্দুর রহিম মিস্ত্রীর ছেলে।  

জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়ার কামরুল ইসলাম সাজুর সাথে ঢাকায় নেত্রকোনার আটপাড়া থানার শ্রীরামপুর গ্রামের ওই নারীর পরিচয়ের সূত্রধরে বিয়ে হয়। এরপর থেকে তারা ঢাকায় অবস্থান করে। গত ঈদুল আযহার এক সপ্তাহ আগে ওই নারী স্বামীকে খোঁজার উদ্দেশ্যে সুন্দরগঞ্জে আসে। স্থানীয় কিছু সংখ্যক অপরিচিত ব্যক্তি ওই নারীকে তার স্বামীর বাসার ঠিকানা খুঁজে বের করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাতে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। পরদিন দিবাগত রাতে স্থানীয় কিছু সংখ্যক ব্যক্তি তাকে কাউন্সিলর হাবিরের নিকট নিয়ে আসে। হাবিব ওই নারীর বক্তব্য শুনে তাকে থানা পুলিশের নিকট পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ বিষয়টি আমলে না নিয়ে ওই নারীকে ঢাকায় ফিরে যেতে বলে। ওই নারী ঢাকায় ফিরে না গিয়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করায়। বিষয়টি উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে ছালমা জানতে পেয়ে ওই নারী স্বামী সাজুকে ডেকে নিয়ে এসে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এম এ আজিজ, তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, দহবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল আলম রেজা ওই নারীর অভিযোগ সমুহ মিমাংসা করে স্বামীসহ ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়।

রহস্যজনক কারণে ওই নারী গত ২০ জুলাই গাইবান্ধায় এসে পুলিশ সুপারের নিকট কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে এজাহার দেয়। পুলিশ সুপার সুন্দরগঞ্জ থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত করে মামলা করার পরামর্শ প্রদান করে। বেশ কয়েকদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার পর অবশেষে ২৫ জুলাই রাতে থানায় নারী নির্যাতন আইনে মামলাটি রেকর্ড করে।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত জানান,  মামলার প্রধান আসামি সাজু গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এসএম

Link copied!