চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু

অস্থিতিশীল চালের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে খোলাবাজারে চাল বিক্রি শুরু করেছে খাদ্য অধিদফতর। ওএমএস এর বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় নগরের ১৪টি পয়েন্টে এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আরও ১৯টি পয়েন্টে চলছে এ কার্যক্রম।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে চাল ও আটা বিক্রি শুরু করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়।

খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন নগরীর ১৪টি পয়েন্টে ১৪টি খোলা ট্রাকের মাধ্যমে ২৮ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হবে। প্রতিটি ট্রাকে ২ মেট্রিকটন করে চাল থাকবে।

এছাড়া নগরের ১৯টি পয়েন্টে নির্ধারিত ডিলারের দোকানে প্রতিদিন ২ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ৫০০ কেজি আটা বিক্রি করা হবে। একজন ক্রেতা খোলা ট্রাক থেকে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন। এছাড়া ডিলারের দোকান থেকে ৩০ টাকায় ৫ কেজি চাল ও ১৮ টাকায় ৫ কেজি আটা কেনা যাবে।

অন্যদিকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায়ও শুরু হয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। এই কর্মসূচির আওতায় ১৫ উপজেলার ৮০ হাজার ৬৯৪ পরিবার প্রতি মাসে প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন।

সরেজমিন পরিদর্শনে, ক্রেতারা খুবউ ৎসবমুখর পরিবেশেও এমএসের চাল আটা ক্রয় করছে। তাদের চোখেমুখে এক প্রকার আনন্দ দেখা গেছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের খাদ্য পরিদর্শক মোহাম্মদ শফিউল হাবিব ভূইয়া বলেন, কোন অভিযোগ ছাড়া সুশৃঙ্খলভাবে বিক্রি করা হয়েছে চাল। আমরা চেষ্টা করেছি ক্রেতার সন্তুষ্টির জন্য। বর্তমান সরকার খাদ্যবান্ধব সরকার। আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা থাকবে আমাদের।

চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে ন্যায্যমূল্যের বিশেষ ওএমএসের চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম আগামী তিন মাসব্যাপী নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে চলবে। প্রতিদিন নগরীতে ১৪টি ট্রাকের মাধ্যমে ২৮ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হবে। পাশাপাশি আমাদের নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমে নগরের ১৯টি পয়েন্টে দোকান থেকে চাল ও আটা কিনতে পারবেন। একই কর্মসূচি চলবে সকল পৌরসভা ও উপজেলাগুলোতেও।

কেএস