আল-আমিন, নীলফামারী
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২, ০১:৫৯ পিএম
আল-আমিন, নীলফামারী
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২, ০১:৫৯ পিএম
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নে মর্ডান নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কয়েক বছর ধরে বন্ধ। নেই কোনো শিক্ষার্থী। গত ৬ জুলাই প্রকাশিত এমপিও ভুক্তির তালিকায় এসেছে বিদ্যালয়টির নাম। এমন খবরে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আনন্দিত হলেও আশ্চার্য হয়েছে সুধী সমাজ ও স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা রতন অবাক হয়ে বলেন, বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ রয়েছে সেটি কীভাবে এমপিও ভুক্ত হয়।
সরেজমিনে জানা যায়, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠানটি কাগজে কলমে স্থাপন দেখানো হয়েছে। এমপিও ভুক্ত আবেদনের সময় ২০২০ সালে সেখানে তৈরি করা হয় পুরাতন টিনের ঘর। শিক্ষার্থী না থাকায় কোন দিনও ক্লাশ হয়নি। বিদ্যালয় সভাপতি প্রধান শিক্ষকের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান। বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্তির ঘোষনার পর তারা নড়ে চরে বসেন। বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ৫ জন শিক্ষার্থী বসে আছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মচারীসহ ১২জনকে নিয়োগ দেখানো হলেও বাস্তবে পাওয়া যায় মাত্র ৪ জনকে। বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। সেখানে সহকারী শিক্ষক আব্দুল মতিনকে পাওয়া গেলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আসেন না।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও ভুক্ত হওয়ার শর্তানুযায়ী বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমি এবং খেলার মাঠ থাকতে হবে। শিক্ষার্থী থাকতে হবে। কাগজে-কলমে জমি দেখানো হলেও বাস্তবে এই বিদ্যালয়ের দখলে নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি নেই। খেলার মাঠ নেই। শিক্ষার্থী নেই। গত জুলাই মাসে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর থেকে গ্রামের কিছু দরিদ্র শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বিনা পয়সায় প্রাইভেট পড়ানোর নামে কাগজে-কলমে শ্রেণি কার্যক্রম সচল দেখানো হচ্ছে। তবে শিক্ষকরা দাবি করেন এসব শিক্ষার্থী তাদের বিদ্যালয়ের। শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে শিক্ষকরা তা দেখাতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারি শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান ঠিকাদারী কাজে ব্যস্ত থাকেন বলে বিদ্যালয়ে সময় দিতে পারেন না, এ জন্য বিদ্যালয়ের বেহাল দশা।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সাথে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের সভাপতি মোখলেছুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। আজকে শুধুমাত্র ৫ জন উপস্থিত হয়েছে।
জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। ডিমলা উপজেলার শিক্ষা অফিসের অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
কেএস