রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২, ০৪:৩৬ পিএম
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২, ০৪:৩৬ পিএম
পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন বাতিলসহ ৭ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য ভূমি কমিশন চেয়ারম্যানের বৈঠক বাতিলের দাবিতে আগামীকাল ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি শহর এলাকায় টানা ৩২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটির একটি স্থানীয় রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই হরতালের ডাক দেয়া হয়।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মুজিবুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর জামান ডালিম, যুগ্ম-সম্পাদক রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাদারণ সম্পাদক এস এম মাসুম রানা, রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আসমা মল্লিক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, রাঙ্গামাটি শহর এলাকায় আগামীকাল ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩২ ঘন্টা হরতাল পালন করবে নাগরিক পরিষদ। হরতাল চলাকালে এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নেতৃবৃন্দদের নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে মিছিল, পথসভাসহ ভুমি কমিশনের বৈঠককে প্রতিহত করা হবে বলে জানান নেতৃবৃন্দরা।
এসময় সংবাদ সন্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দরা ৭ দফা দাবি তুলে ধরে। দাবি গুলো হচ্ছে ১. পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সকল জাতি গোষ্ঠী থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিশ্চিত করতে হবে। ২. পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি নিরোধ নিষ্পত্তি এর কার্যক্রম শুরুর পূর্বে, ভূমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করতে হবে। ৩. জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমির উপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন ২০১৬ এর ধারা সমূহ বাতিল করতে হবে। ৪. পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রবর্তন করতে হবে এবং সমতলের ন্যায় জেলা প্রশাসকগণকে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার দিতে হবে। ৫. কমিশন কর্তৃক ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কারনে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারী খাস জমিতে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ৬. পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত রীতি, প্রথা ও পদ্ধতির পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা কর হবে। ৭. বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দোবস্তীকৃত অথবা কবুলিয়ত প্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।
কেএস