Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

শাহজালালে বিমানের টয়লেট থেকে ৪০ পিস সোনার বার উদ্ধার

তুরাগ (উত্তরা) প্রতিনিধি

তুরাগ (উত্তরা) প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২, ০৭:৫০ পিএম


শাহজালালে বিমানের টয়লেট থেকে ৪০ পিস সোনার বার উদ্ধার

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (বিজি-১২৮) নং আকাশবীণা ফ্লাইটের টয়লেট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪০ পিস সোনার বার উদ্ধার করেছেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।

জব্দকৃত সোনার প্রতিটির বারের ওজন ১১৬ গ্রাম। যার মোট ওজন হল ৪ কেজি ৬৪০ গ্রাম। আটককৃত সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য তিন কোটি চব্বিশ লক্ষ আশি হাজার টাকা বলে জানা গেছে।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহমেদুর রেজা চৌধুরী সোনা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার দুপুর ১২ টা ৩২ মিনিটের সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (বিজি-১২৮) আকাশবীণা উড়োজাহাজের ওয়াশ রুম থেকে বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় ৪০ পিস স্বর্নবার উদ্ধার করা হয়।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এর মহাপরিচালকের নিকট গোপন সংবাদ আসে যে,  সংযুক্ত আরব আমিরাত এর আবুধাবি থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আগত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (বিজি-১২৮) নং (আকাশবীণা) বিমানটিতে অবৈধভাবে চোরাচালানকৃত স্বর্ন বহন করা হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিচালক আরেফিন খানের দিকনির্দেশনায় উপ-পরিচালক আহমেদুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে কাস্টমস গোয়েন্দার একটি দল বিমানবন্দরের ১০নং বোর্ডিং ব্রিজের সামনে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে কাস্টমস গোয়েন্দা টিম প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিমানের ভিতরে প্রবেশ করে এবং প্রাপ্ততথ্য মতে বিমানের ওয়াশ রুম থেকে বিশেষভাবে সুকৌশলে লুকায়িত অবস্থায় ৪০ পিস স্বর্নবার উদ্ধার করে। যার মোট ওজন ৪ কেজি ৬৪০ গ্রাম। প্রতিটি সোনার বারের ওজন ১১৬ গ্রাম। আটককৃত সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য তিন কোটি চব্বিশ লক্ষ আশি হাজার টাকা

উপ-পরিচালক আহমেদুর রেজা চৌধুরী বলেন, যেহেতু সোনা গুলে পরিত্যক্ত অবস্হায় পাওয়া গেছে, সেহেতু বিষয়টি অধীক গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে।

এ বিষয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এবং "দি কাস্টমস এক্ট" ১৯৬৯ এর বিধান অনুযায়ী বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা।

কেএস 

Link copied!