সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২, ০৫:৫৪ পিএম
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে নির্মাণের এক বছরের মাথায় সেতুর সংযোগ সড়কটির অনেক অংশ ধসে গেছে। উপজেলার ইমামগঞ্জ-বাসাইল-গুয়াখোলা-রামকৃষ্ণদী সড়কের বাসাইল বাজার সংলগ্ন ইছামতি শাখা নদীর ওপর ৩০ মিটার পিসি গার্ডার সেতুটি নিমার্ণ করা হয়।
নির্মাণের এক বছরের মাথায় সেতুটির সংযোগ সড়কটি ধসে যায়। র্দীঘদিন ধরে সড়কটি ধসে গিয়ে বেহাল অবস্থা পড়ে রয়েছে। এতে পথচারী, যানবাহনের চালকসহ হাজারো মানুষ দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তাই দ্রুত মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর সংযোগ সড়কের এক পাশ ধসে গেছে। এতে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এলাকাবাসী দুর্ভোগ নিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে।
জানা যায়, বৃহত্তর ঢাকা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর আওতায় বাসাইল-গুয়াখোলা-রামকৃষ্ণদী সড়কের বাসাইল বাজার সংলগ্ন ইছামতি শাখা নদীর ওপর ৩০ মিটার পিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮৫ টাকা এবং নির্মাণের সময়-সীমা দেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সাল পর্যন্ত। কিন্তু ঠিকাদার কোম্পানি এশিয়ান ট্রাফিক টেকনোলজিস্ লি. বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কাজ শেষ করেন ২০২১ সালের মার্চ মাসে।
সেতুর দুই পাশের ঢালে পার্শ্ববর্তী অংশের তিন দিকে বালির বাঁধ ও একপাশ সিমেন্টের বøক দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। নির্মাণের পর থেকে সামান্য বৃষ্টির পানিতে তিন পাশের বালি সরে বড় বড় গর্ত হওয়ায় গাড়ি চলাচলে ঝুঁকির সৃষ্টি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বৃষ্টির পানিতে সেতুর পশ্চিম পাশে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঐ অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
অটোরিকশা চালক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর সংযোগ সড়কটি ধসে গেছে। এতে গাড়ি নিয়ে চলাচল করা যায়না। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের কেউ এসে এটা মেরামত করেও দিয়ে গেল না। আমাদের চেয়ারম্যানও দেখেও দেখেনা। খুব দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। আমরা এইটার মেরামত চাই।
বাসাইল গ্রামের বাসিন্দা মো.সোহরাব খান জানান, রাতের অন্ধকারে ও দিনের বেলায় প্রায় সময়েই ঐ স্থানে দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া সেতুর দুই পাশের ফ্লোর কার্পেটিং না করে শুধু ইট বিছানো হয়েছে। এতে খুব দুর্ভোগ নিয়ে আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে।
কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি ধসে পড়ে রয়েছে কেউ এটা মেরামত করে দিচ্ছে না। খুবই দুঃখের বিষয় সেতুটি নির্মাণের সময়ও বছরের পর বছর কাজ ফেলে রেখেছে ঠিকাদার তখনও কেউ কিছু বলে নাই। এখন রাস্তাটি ধসে গেছে এটাও কেউ মেরামত করে দিচ্ছে না। তাই দ্রুত প্রশাসনকে এটা মেরামত করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো.রেজাউল ইসলাম জানান, যেহেতু বৃষ্টির পানির কারণে সংযোগ সড়কটি ধসে গেছে, আমরা দ্রুত সড়কটি মেরামত করার ব্যবস্থা করছি। বরাদ্দ পেলেই কাজ করা হবে।
এআই