ত্রিশাল প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২, ০২:৫২ পিএম
ত্রিশাল প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২, ০২:৫২ পিএম
মানুষ এবং বন্যপ্রাণীর মধ্যে একটি সহাবস্থান তৈরী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বণ্যপ্রাণী, মূলত সাপ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশে।
শনিবার সকালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে স্নেক রেসকিউট টিমের সদস্যরা বিষাক্ত সাপ উদ্ধার প্রসঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
জানা গেছে ,২০২০ সালে সিদ্দিকুর রহমান রাব্বি, টিমটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং অনেক কম সময়ের মধ্যেই সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
বর্তমানে টিমে ২৫ জন প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত রেস্কিউয়ার রয়েছেন, যারা বিপদগ্রস্ত অথবা মানুষের বাসস্থানে ঢুকে পড়া কোন সাপ এবং অন্য বন্যপ্রাণীদের উদ্ধার করে আবার সেগুলোকে প্রকৃতিতে তাদের অবস্থানে ফিরিয়ে দেন।
এছাড়াও অসুস্থ সাপ এবং অন্যান্য বণ্যপ্রাণীর চিকিৎসার মাধ্যম্যে সেগুলো সুস্থ করে অবমুক্ত করা হয়। এখন পর্যন্ত এই টিম প্রায় ২২০০ টি বিষধর এবং নির্বিষ সাপ উদ্ধার করেছে।
কিং কোবরা, পদ্ম গোখরা, খৈয়া গোখরা,শঙ্খিনী, ব্ল্যাক ক্রেইট, গ্রিন পিট-ভাইপারের মত বিষধর সাপ এবং নির্বিষ অজগর, কুকরি, বেত আঁচরা, দুধরাজ, ফণিমনসা সহ আরো বেশকিছু প্রজাতির সাপ টিম উদ্ধার করেছে।
এছাড়াও বাংলাদেশে প্রাপ্ত বিষধর এবং একই সাথে বিষাক্ত প্রজাতির লাল-গলা ঢোঁড়া টিম উদ্ধার করে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করেছে।
গত মে মাসেই এই টিম ৫ টি অজগর সাপ সহ ২০২২ সালেই ১২ টি অজগর সাপ উদ্ধার করে এবং সেগুলোকে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেয়া হয়। বাংলাদেশের প্রথম লিউসিস্টিক জলঢোঁড়া সাপটিও টিম উদ্ধার করেছে। সাপ ছাড়াও প্রায় ১ হাজারের উপরে অন্য বণ্যপ্রাণী উদ্ধার এবং অবমুক্ত করেছে স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ।
১৮ জন সাংগঠনিক সদস্যা দ্বারা টিম পরিচালনা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরীর জন্য সাপ সম্পর্কিত একটি অনলাইন ভিত্তিক কোর্সও চালু করা হয়েছে।
যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগ্রহী ব্যাক্তিরা এই কোর্সে অংশগ্রহন করছেন।তাদের মাঝে আমরা সাপ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান এবং সাপ বিষয়ে করণীয় কাজগুলো সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়।
বর্তমানে টিমে মোট সদস্য রয়েছেন ৫০ জন এবং তথ্য দিয়ে আরো ২০০ জন আমাদেরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাথে নতুন সদস্য যুক্ত হচ্ছেন।
সারাদেশেই সদস্য তৈরী এবং তাদের প্রশিক্ষণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৪০ টি জেলায় প্রশিক্ষিত উদ্ধারকর্মী তৈরী করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এআই