মো,তারেক পাঠান, পলাশ
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২, ০১:৪৮ পিএম
মো,তারেক পাঠান, পলাশ
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২, ০১:৪৮ পিএম
২৫ বছর বয়সী এক টকবকে তরুণ যুবক আসাবুদ্দীন। সুস্থ থাকাকালীন গিরিল মিস্ত্রীর কাজ করতেন তিনি। তার উপার্জনের টাকায় চলতো পুরো পরিবার। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সুস্থ স্বাভাবিক আসাবুদ্দিনের আজ কোমরের মেরুদন্ডের হাড়,দুইটি পা ও একটি হাত পঙ্গু হয়ে গেছে।
গত তিন বছর ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী। প্রতিনিয়তই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। সামান্য ভিটেমাটি ছাড়া যেটুকু জমি ছিলো সব কিছু বিক্রি করে এতোদিন চিকিৎসার খরচ চালিয়েছে পরিবারটি। বর্তমানে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। পরিবারের এক মাত্র উপার্জনকারী আসাবুদ্দিনের জীবনে এমন দূর্ঘটনা নেমে আসায় চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে পরিবারটি।
ইতিমধ্যে তার চিকিৎসার জন্য দশ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। চিকিৎসকের পরার্মশ, অতি দ্রুত দেশের বাইরে কিংবা উন্নত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে। তবেই সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে আসাবুদ্দীন। এ জন্য প্রয়োজন আর ও দশ লাখ টাকা যা অসহায় পরিবারটির পক্ষে যোগাড় করা অসম্ভব। আসাবুদ্দীন নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের দক্ষিণদেওড়া গ্রামের দিনমুজুর মোহাম্মদ আলীর ছেলে। পরিবারের তেমন কর্মক্ষম কেউ না থাকায় অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই তার পরিবারের আয় উপার্জন বন্ধ রয়েছে। ঋণ করে একদিকে চিকিৎসা খরচ অন্যদিকে সাংসারিক খরচ চালাতে গিয়ে এখন দিশেহারা আসাবুদ্দীনের পরিবার।
সরেজমিনে আসাবুদ্দীনের বাড়িতে গেলে আবেগাপ্লুত হয়ে তার মা-বাবা ও স্বজনরা জানান,২০১৯ সালের আগস্টে পলাশ উপজেলা বাসট্যান্ডে নির্মাণাধীন ভবনের চার তলায় কাজ করতে গিয়ে পড়ে যায় আসাবুদ্দীন। পড়ে গিয়ে কোমড়ের মেরুদন্ডের হাড়, দুই পা ও একটি হাত ভেঙ্গে যায় তার। পঙ্গু হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে দীর্ঘ দেড় বছর চিকিৎসা করানো হয়।
মেরুদন্ডের অপারেশন হয় তার। সারাদিন শুয়ে থাকায় চিকিৎসার সময় গায়ে কয়েক বার পচনও ধরে। হাসপাতালে দীর্ঘ দেড় বছর চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে পরিবারটি আজ নিঃস্ব। বর্তমানে কোমরের নিচ থেকে সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে গিয়ে অনুভূতিহীন হয়ে পরেছে। হুইল চেয়ারে বসেই দিন যাচ্ছে তার। চিকিৎসা খরচ বহন করতে না পাড়ায় গত এক বছর যাবত বিনা চিকিৎসায় আর ও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
সমাজের উচ্চবিত্তদের কাছে আকুল আবেদন অসহায় এই পরিবারের জন্য এগিয়ে আসুন। মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। চিকিৎসার জন্য আসাবুদ্দিনের সহায়তা করতে চাইলে আসাবুদ্দিনের নিজ নামীয় বিকাশে টাকা পাঠানো যাবে। বিকাশ নম্বর ০১৭১৬৬৭৪১২৬ (ব্যক্তিগত) আসাবুদ্দিন : এ ছাড়া আসাবুদ্দিনের নিজ নামীয় ডাচ্ বাংলা ব্যাংক পলাশ-নরসিংদী সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- ৭০১৭৩২৮২২৫২১০ ব্যাংক হিসাব নাম্বারে টাকা পাঠানো যাবে। নিজে দিতে পারেন কিংবা প্রবাসীসহ বন্ধু বান্ধুবদের থেকে সংগ্রহ করে পাঠাতে পারেন।
আপনার একটু সহায়তায় বেঁচে যাবে একটি প্রাণ ও একটি পরিবার। আসুন আমরা সকলে এই মহৎ কর্মে এগিয়ে আসি। বিপদ যে কোন মুহুর্তে আমার/আপনারও হতে পারে।
এআই