Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

বাগেরহাটে প্রেমিকাকে হত্যা, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাট প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, ০৩:৫৩ পিএম


বাগেরহাটে প্রেমিকাকে হত্যা, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

বাগেরহাটের কচুয়ায় আয়না বেগম (১৭) নামের এক নারীকে হত্যার অপরাধে আমজাদ খান নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাগেরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক তপন রায় আসামীর উপস্থিতিতে এই দণ্ডাদেশ ঘোষণা করেন। এসময় আসামীকে আরও এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন বিচারক।

দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আমজাদ খান কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিন ওরফে ধলু খানের ছেলে। নিহত আয়না বেগম কচুয়া উপজেলার গাবরখালি এলাকার হোসেন আলীর মেয়ে।

মামলা সূত্রে জানাযায়, ২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের বাবলু নামের এক ব্যক্তির সুপারি বাগান থেকে অজ্ঞাত নামা এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একইদিন কচুয়া থানায় এ বিষয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন কচুয়া থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মিয়ারব হোসেন। অজ্ঞাতনামা এই নারীর পরিচয় ও হত্যাকারীকে শনাক্তে কাজ শুরু করে পুলিশ। ওই বছরের শেষের দিকে পুলিশ আমজাদ খানকে আটক করে। ২০১৩ সালের ০৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ আদালতে আমজাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আমজাদ খান জানায়, অজ্ঞাতনামা ওই নারীর নাম আয়না বেগম। মুঠোফোনে আয়নার সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে বিয়ে করার শর্তে আমজাদ খান আয়নার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে ওই নারী আমজাদকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। বউ বাচ্চা থাকায় আমজাদ আয়নাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি জানাজানি হলে নিজের ক্ষতি হবে ভেবে আমজাদ ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও পুলিশের চার্জশিটের ভিত্তিতে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় আদালত আমজাদকে মৃত্যু দণ্ডাদেশ দেন।

এই মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌশুলী সীতা রানী দেবনাথ। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিদান চন্দ্র রায়।

এসএম

Link copied!