শরিফ শেখ, সাভার
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২, ০১:৩১ পিএম
শরিফ শেখ, সাভার
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২, ০১:৩১ পিএম
সাভারে সরকারি ছাগল উন্নয়ন খামারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ না করে কাগজে-কলমে শতভাগ বাস্তবায়ন দেখিয়ে বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে ছাগল খামারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ছাগল খামারের আবকাঠামো গত উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শরিফুল হক ও সরকারী পরিচালক সমরেশ কুমার সরকার, উপ সহকারী প্রকৌশলী ফজলে রাব্বী এবং তাদের সহযোগী শহিদুল ইসলাম বিল উত্তোলন করেন।
এছাড়াও যেসব কাজ হয়েছে তাতে নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করাসহ নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান `রুপক এন্টারপ্রাইজ`।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সাভারে সরকারি ছাগল উন্নয়ন খামারে আবকাঠামো উন্নয়নের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে সকল শর্তাদি মেনে আবেদন করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান `রুপক এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী সাইদ আহমেদ। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেন প্রকল্প পরিচালক শরিফুল হক। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী কাজ করতে গেলে সাভার সরকারি ছাগল উন্নয়ন খামারের আবকাঠামো গত উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শরিফুল হক তার কথা মতো কাজ করার নির্দেশ দেয়। অন্যথায় তিনি বিল আটকে দেওয়ার হুমকি দেন। ডাব্লিউ ডি২ লট-৪ ডাব্লিউ ডি৩ লট-৪ এসব লটের তিন লক্ষ ৪১ হাজার ৯শ ৫৫ টাকার কোন কাজ না করেই বিল জমা দিতে বলেন।
ঠিকাদার তাদের কথা মতো বিল জমা দিলে ছাগল খামারের আবকাঠামো গত উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শরিফুল হক ও সরকারী পরিচালক সমরেশ কুমার সরকার, উপ সহকারী প্রকৌশলী ফজলে রাব্বী এবং তাদের সহযোগী শহিদুল ইসলাম বিল উত্তোলন করেন। এছাড়াও ওয়ার্ক অর্ডারে আইটেম নং ১৯ এবং যার আইটেম কোড নং-২৭.৭.২ ওই ওয়াক অর্ডার অনুযায়ী জি.আই পাইপ ব্যবহার করার কথা থাকলেও প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের করণে নিম্নমানের পিবিসি পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক কাজের ২ লাখ ৯৪ হাজার ৮৬ টাকার কোন কাজ না করেই বিল পাশ করিয়ে নেন। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী কাজের মোট বিল ছিল এক কোটি সাত লাখ। ওয়ার্ক অর্ডার বিল বর্ণিত করেন এবং তিনটি শেড আমরা নির্মাণ করার জন্য আরও ১৪ লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ করেন কিন্তু শেড নির্মাণ না করেই বিল উত্তোলন করে নেন। যার স্মারক নং- ৩৩.০১.০০০০.৭১৭.০৪.০০২.১/৭৭৮ তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০২০। প্রকল্পে গিয়ে দেখা গেছে কাগজে-কলমে শতভাগ বাস্তবায়ন দেখিয়ে বিল উত্তোলন করা হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
লিখিত অভিযোগের বাহিরে ঠিকাদার সাইদ আহমেদ আরও জানান, ছাগল উন্নয়ন খামারের সহকারী পরিচালক সমরেশ কুমার কাজ চলাকালীন সময়ে আমার কাছে ১লক্ষ টাকা দাবি করে। পরে আমি তার অফিসে গিয়ে পিয়নের সামনে দাবিকৃত ১লক্ষ টাকা তাকে দেই। এছাড়াও মোবাইল ফোনে বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা পাঠিয়েছি।
এ ব্যাপারে সাভার সরকারি ছাগল উন্নয়ন খামারের সহকারী পরিচালক সমরেশ কুমার সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আপনারা আমার পিডি শরিফুল হকের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেন। ঠিকাদারের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে উশৃংখল আচরণ করেন।
বিষয়টা নিয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও প্রকল্প পরিচালক (পিডি) শরিফুল হককে ফোনে পাওয়া যায়নি।
কেএস